শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:০৯, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০১৪

একটি রাজকীয় বিড়ালের আত্মকাহিনী!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
একটি রাজকীয় বিড়ালের আত্মকাহিনী!

সময় পেলেই আমি রাজপ্রাসাদের পশ্চিম বেদীতে উঠে হেলে পড়া সূর্যের অস্তগামী হবার দৃশ্য দেখি- নিতান্ত বিড়াল হলেও প্রকৃতির প্রতিদিনকার দুইটি অদ্ভুত দৃশ্য আমাকে চমৎকৃত করে। একটি হলো সূর্যোদয় আর অন্যটি সূর্যাস্ত। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রকৃতির এতো বড় পরিবর্তন দেখে আমি প্রায়ই অস্থির হয়ে পড়ি। প্রকৃতি নিয়ে আমার এতো ভাবনার মূল কারণ হলো আমার বাসস্থান অর্থাৎ রাজপ্রাসাদের অন্যান্য বাসিন্দাদের হম্বিতম্বি এবং রাজপুরীতে আগত অভ্যাগতদের ভাবসাব, ক্রিয়াকলাপ ও সং ভং দেখে আমি প্রায়ই ভাবি, আচ্ছা! আমি কি জীবিত নাকি মৃত! কিংবা আমি কি বাস্তবিকই সবকিছু দেখছি নাকি স্বপ্ন দেখছি! আজ আমি আমার জীবনের কিছু চমকপ্রদ ইতিবৃত্ত আপনাদেরকে শোনাব।

মূল কাহিনীতে যাবার আগে বলে নেই আমার পরিচয়। আমার নাম মিনি- এটি আমার মালিকের দেয়া নাম। আমার জন্ম শীতের দেশে। মালিকের ইচ্ছায় কৃতদাস হয়ে আমি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে বসবাস করছি। আসমান ও জমিনের মালিক শীতের কবল থেকে বাঁচার জন্য আমার শরীরে বড় বড় লোম দিয়েছেন। আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, পাকস্থলী এবং খাদ্যাভ্যাস মূলত শীতের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য বানানো হয়েছিলো। কিন্তু আসমানের মালিকের দাস-দাসীদের ইচ্ছায় আমি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের বাসিন্দা হয়ে বড়ই মুছিবতে আছি। এই দেশের আবহাওয়া আমার ভালো লাগে না, লোকজনের অদ্ভুত কর্মকাণ্ড আমার কাছে বড়ই অসহ্য এবং খাবার-দাবার একদম হজম হয় না। কিন্তু আমার তো কিছু করার নেই বা বলার ও ক্ষমতা নেই। কারণ আমি যে পশু- আমি যে ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী।

আমি শুধু আমার নাম বললাম এবং ইচ্ছে করেই বললাম না - আমি কি পুরুষ বিড়াল না নারী বিড়াল। আপনাদের দেশে পুরুষ বিড়ালকে বলে 'হোলা বিলাই' আর মেয়েদেরকে বলে 'মেনী বিলাই'। দুটো উপাধিই আমার ভারী অপছন্দ- শুনলেই গা জ্বালা করে। কোনো কোনো এলাকায় বলে মর্দা এবং মাগী বিলাই! উফ! যত্তোসব অসভ্য শব্দ। আমি কিন্তু নিজের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করলাম না মানুষ্য সমাজের লিঙ্গ নিয়ে অতি বাড়বাড়ির কারণে। নারীবাদীরা বলবে - দেখো বিড়ালের কত্তোবড় সাহস! আমাদের গোত্রভূক্ত হতে চায়। অন্যদিকে, পুরুষরা বলবে- হায়! এদেশের যে কি হলো- একটা বিলাই আবার পুরুষ হতে চায়। যাহোক- নারী পুরুষের এত্তোসব টিটকারী ফিটকারী আমি একদম পাত্তা দেই না। কারণ আমার বর্তমান অবস্থার কারণে কতো রথী-মহারথীরা যে আমার মনোরঞ্জনের জন্য কতো কিছু করে তা যদি বলি তবে অনেকের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি লাগবে।

আজ যেহেতু নিজের আত্মকাহিনী বলতে বসেছি সেহেতু কিছু কথা তো বলতেই হবে। আগে নিজের একান্ত ব্যক্তিগত কিছু কথা বলে নেই। আমার গায়ের রং অনেকটা বাঘের মতো- বলতে পারেন কটা রংয়ের, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো অতো উজ্জ্বল নয়। আবার হায়েনা কিংবা ছাগলের মতো বিবর্ণও নয়। আমার মালিক আমাকে নিজ হাতে গোসল করান নিয়মিত শ্যাম্পু-সাবান এবং স্যাভলন দিয়ে। তারপর ড্রাইয়ার দিয়ে আমার ঘন ও বাহারী লোম শুকিয়ে ল্যাভেন্ডার মেখে দেন। মাঝে মধ্যে চিরুনি দিয়ে আমার লোমগুলো আঁচড়িয়ে দেন। আঁচড়াতে আঁচড়াতে তিনি দুষ্টামি করে আমার মোচগুলোতে টান মারেন- আর আমি লজ্জায় মিউ মিউ করে উঠি অনেকটা নতুন জামাই বা নতুন বউয়ের মতো। আমার এই সলজ্জ মিউ মিউ ডাক শুনে আমার মালিক ভারী আনন্দ পান। তার প্রিয় এক বান্ধবী তাকে প্রায়ই বলেন- আচ্ছা মিনিকে নিয়ে তুমি এতো মাতামাতি করো কেন? আমার মালিক বিরাট এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন- ও তুমি বুঝবে না। আমার মালিকের দীর্ঘশ্বাসের অর্থ তার বান্ধবী না বুঝলেও আমি কিন্তু বুঝি! আর সেই কাহিনীই ধীরে ধীরে আপনাদেরকে জানাবো।

আগেই বলেছি শীতের দেশে আমার জন্ম। আমাকে যখন এদেশে আনা হয় তখন আমার পূর্বতন মালিক খুব ভালো করে বলে দিয়েছিলো- আমি কি খাই, কখন ঘুমাই, কখন বাথরুমে যাই ইত্যাদি সবকিছু। আমার মালিক আমার জন্য আগে থেকে পূর্ব মালিকের কথামতো সব কিছু ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। আমি রাজ প্রাসাদে ঢুকে তো অবাক- এতো বড় বাড়ী আমি জীবনে দেখিনি। আমি বেশি অবাক হয়ে গেলাম আমার বেডরুমটি দেখে। বেশ বড়সড় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা। আমার মতো কয়েকশ' বিড়াল থাকতে পারবে। কামরার ওয়ালে নানা রকম ছবি এঁকে রাখা হয়েছে আমার মনোরঞ্জনের জন্য। বিড়াল, বাঘ, ইঁদুর, তেলেপোকা, শেয়াল, কুকুর, সিংহ, মহিষ, গণ্ডার, হরিণসহ নানা পশু-পাখি ও পোকামাকড়ের ছবি। আমার শোয়ার জন্য রয়েছে সুন্দর একটি খাট। একটি দোলনা রয়েছে অবসরে দোল খাওয়ার জন্য। টেলিভিশন রয়েছে যেখানে বিড়ালদের উপযোগী কার্টুন দেখানো হয় সব সময়। এ ছাড়া রুমের মধ্যে রয়েছে নানা রকম খেলার সামগ্রী। খুশিতে আমার মন নেচে উঠলো। এর পর ঢুকলাম বাথরুমে। ওরে বাবা- এতো দেখছি এলাহী কাণ্ড। জ্যাফুজীসহ বাথটাব, রয়েছে স্টিম বাথের ব্যবস্থা। ছোট একটি টেলিভিশনও রয়েছে বাথরুমে। টয়লেটের স্থানে গিয়ে দেখলাম অটোমেটিক ফ্ল্যাশ সম্বলিত কোহলার ব্রান্ডের একটি হাই কমোড এবং লো প্যান বসানো রয়েছে সেখানে। আমার মালিকের রুচিবোধ এবং আভিজাত্য দেখে আমি যারপরনাই প্রীত হলাম।

আগে আমার ঠিকানা ছিলো ডেনমার্কের রাজধানী কোপেন হেগেনের একটি পশু-পাখির দোকান। সেখানে আমার জীবন ছিলো নিতান্ত সাদামাটা। সারাদিন খাঁচায় বন্দী থাকতাম এবং সময়মতো খাবার খেতাম, মলত্যাগ করতাম এবং ঘুমাতাম। কিন্তু নতুন বাসস্থানে এসে আমি তো রীতিমতো ভীমরতি খাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছালাম। আমি নিজেকে আর বিড়াল না ভেবে প্রাসাদের অন্যান্য বাসিন্দাদের মতো রাজা-মহারাজা কিংবা রানী-মহারানী ভাবতে শুরু করলাম। আমি সারা প্রাসাদ লেজ উচিয়ে ঘুরে বেড়াই আর মনের আনন্দে মিউ মিউ করে ডাকি। আমার মালিকের নিকট যারা স্বার্থ লাভের জন্য আসে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই আমার গুরুত্ব অনুধাবন করে ফেললো। তারা বুঝলো আমাকে যদি কেউ আদর করে কিংবা কোলে তুলে চুমো দেয়-তাহলে আমার মালিক ভারী খুশি হন। আমাকে সেবা দানকারী বা আদর যত্নকারী বা সোহাগকারী/কারীনি অতি দ্রুত আমার মালিকের কৃপা লাভের যোগ্যতা অর্জন করে ফেলে এমন কথা জানাজানি হতেই আমার কদর বেড়ে গেল সর্বমহলে।

রাজপ্রাসাদের বাসিন্দা এবং অভ্যাগতদের যত্নআত্মি এবং সীমাহীন পাত্তালাভের কারণে আমার মধ্যে এক ধরনের ভাবসাব চলে এলো। আমি বিড়াল হয়েও বাঘের মতো হেলেদুলে চলতে আরম্ভ করলাম। আচার-আচরণে এমন একটি অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুললাম যেন লোকজন আমাকে অধিক মাত্রায় সমীহ করতে থাকে। হলোও তাই- আমি যখন-তখন আমার মালিকের নিকট চলে যেতে পারি। তিনি হয়তো রাজপুরুষ এবং রাজনারীদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু তাতে কি? আমি কখনো সখনো সেইসব বৈঠকে ঢুকে পড়ি। আমার মালিকের খাদেম-খাদেমারা চেয়ার ছেড়ে আমাকে ধরতে আসে। কেউ কেউ কোলে তুলে নেয়। ওয়া ওয়া মিনি- কিউ কিউ মিনি ইত্যাদি অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ উচ্চারণ করে আমাকে আদর করে। আমার গলা, ঘাড় ইত্যাদি জায়গায় হাত বুলিয়ে দেয়। কেউ কেউ চুমোও দেয়। তারপর পকেট থেকে সুন্দর সুন্দও চকোলেট বের করে আমাকে খেতে দেয়। আমি অত্যন্ত রাজসিক বিনয়ের সঙ্গে সেইসব উপহার গ্রহণ করি এবং কামরা থেকে বের হয়ে আসি।

আমার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত খাবার হলো ক্যাটফুড। বিড়ালদের জন্য তৈরী করা বিশেষ পুষ্টিকর খাবার- বলতে পারেন বৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরী করা সুষম খাদ্য। রাজ প্রাসাদে এসে কানাঘুষা শুনলাম- এখানকার বুয়া, দারোয়ান, মালি, ঝাড়ুদার এবং বাবুর্চিরা আমার সমালোচনা করছে। তারা বলছে, কি এমন লাট সাহেব বিড়ালরে বাবা-এসি করা রুমে ঘুমায়- ক্যাটফুড খায়, আবার চকলেট খায়- দোলনায় দোল খায়। টিভি দেখে- ঢং দেখে আর বাঁচিনে। মনে হয় একটা আছাড় দিয়ে বিলাইডার গু বাইর করে ফেলি। ওদের কথা শুনে আমার হাত-পা কাঁপতে লাগলো। ওরা আরো বললো, আমাদের দেশী বিড়াল কত্তো ভালো- মাছের কাঁটা খায়, ফেলে দেয়া পঁচা মাছ, ইঁদুর, তেলাপোকা ইত্যাদি খেয়েও তারা দিব্যি বেঁচে থাকে। এসব কথা শোনার পর আমি তৃতীয় শ্রেণির ওইসব লোকজন থেকে দুরে অবস্থান করতে থাকলাম।

রাজপ্রাসাদের বাসিন্দাদের অতিরিক্ত আদর আপ্যায়নে আমার শরীরে মেদ জমে গেলো। আমি বেশ মোটাসোটা হয়ে গেলাম। তাদের অনুরোধে আমি ক্যাটফুড ছেড়ে চকলেট, পোলাও, কোর্মা, কালিয়া কোপ্তা, জর্দা, ফিরনী ইত্যাদি খাওয়া শুরু করলাম। ফলে আমার পেটে গণ্ডগোল দেখা দিল। বেশির ভাগ সময় আমি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভূগতে আরম্ভ করলাম। সারাদিন পেটের মধ্যে পুট পুট করে। ফলে ঘন ঘন বায়ূ ত্যাগ না করলে আমি অস্থিরতা ও অস্বস্তিতে ভূগতে থাকি। আমি যেহেতু মানুষের খাবার খেতাম তাই আমার বিষ্ঠা এবং বায়ূত্যাগের দুগর্ন্ধ মনুষ্য সমাজের মতোই ছিলো।

একদিনের ঘটনা মনে হলে এখনো হাসিতে আমার দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়। সেই দিনের পর বহুবার আমি অপকর্মটি করেছি। প্রত্যেকবারই একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে আমি মজা লুটি। কিন্তু প্রথম দিনের স্মৃতি আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না। সেদিন ছিলো রবিবার। আমার মালিকের কামরায় ৩০/৪০ জন রাজপুরুষ আর রাজনারীর বৈঠক চলছিলো। অভ্যাসমতো আমি সেখানে ঢুকে পড়লাম। অনেকে আমার দিকে তাকালো বটে কিন্তু চেয়ার ছেড়ে উঠে কেউ কোলে নিলো না। সম্ভবত সবাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় ব্যস্ত ছিলো। আমিও বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিলাম। কাউকে বিরক্ত না করে কামরাটির মধ্যে চুপচাপ পায়চারী করতে থাকলাম। আর তখনই ঘটলো দুর্ঘটনাটি। হঠাৎ করেই অসাবধানতা বশত ভরা মজলিশে ২/৩ বার আমার বায়ূ ত্যাগের ঘটনা ঘটে গেলো। অন্যান্য দিনের তুলনায় আমার কোষ্ঠ-কাঠিন্যের পরিমাণ বেশী হওয়ায় সেদিন দূর্গন্ধ ছড়ালো ব্যাপকভাবে। কি করা উচিত বুঝতে না পেরে আমি নেহায়েত ভদ্রলোকের মতো বসে থাকলাম।

আমার কৃত অপকর্মের দূর্গন্ধ সারা কামরায় ছড়িয়ে পড়লো। উপস্থিত ভদ্রনারী ও মহোদয়গণ ঘূণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারলেন না যে- একটি বিড়াল অপকর্মটি করেছে। তারা বরং প্রত্যেকেই মহাবিরক্ত হয়ে একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলো। ভদ্রতাবশতঃ কেউ কাউকে মুখফুটে কিছু বললো না বটে কিন্তু সবাই সবাইকে সন্দেহ করতে থাকলো। বেশী সন্দেহ হলো টাক মাথাওয়ালা লোকদের ওপর। যাদের পেটে সারাক্ষণ গণ্ডগোল থাকে তাদের নাকি মাথায় টাক পড়ে যায়। এসব লোকের মেজাজও থাকে ভীষণ গরম এবং মুখেও থাকে দুর্গন্ধ। টাকপড়া লোকদের মধ্যে একজনের প্রতি সবার সন্দেহ হলো সবচেয়ে বেশি। লোকটি খাটোখুটো ফর্সা প্রকৃতির। মুখমণ্ডল লম্বাটে- সারা মাথায় টাক- কেবল চোয়ালে লম্বা জুলফি রয়েছে। আগে দেশের সবচেয়ে পবিত্র অঙ্গনের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে সে করে নাই এহেন অপকর্ম নেই- ইদানিং তার দায়িত্ব অবশ্য অন্যক্ষেত্রে।

সারা দেশের লোকজন লোকটিকে ঘৃণা করে। আমার মালিকের দরবারের লোকজনও তাকে ঘৃণা করে। তারপরও লোকটি বেহায়ার মতো লেগে থাকে। মালিক সব কিছু জানেন এবং বুঝেন। কিন্তু অবস্থার কারণে কঠোর হতে পারেন না। তিনি জানেন লোকটিকে যদি বের করে দেন তবে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পাড়িয়ে মেরে ফেলবে। লোকটিকে সবাই কাগু বলে ডাকে। আমার সঙ্গে তার একটি মজার ঘটনা আছে। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। তার আগে বলে নেই সেই দিনকার ঘটনা। সবার সন্দেহের দৃষ্টি পড়লো কাগুর ওপর। লোকজন মিটিমিটি হাসছে এবং মহাবিরক্ত হয়ে- কাগুর দিকে তাকাচ্ছে- আর কাগু নির্বিকার চিত্তে পা দুলিয়ে দুলিয়ে আমার মালিকের দিকে তাকিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। হঠাৎ করেই আমার মালিক অদ্ভুত এক কথা বলে বসলেন। তিনি বললেন- কীগো ভীমরুল কাগু! এতো গন্ধ আসছে কোত্থেকে, কামটা করলো কে! আর যায় কোথায়! মুহূর্তের মধ্যে শুরু হলো দমফাটানো হাসি। আমারও ভীষণ হাসি পেলো। সুযোগ বুঝে হাসতে হাসতে আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।
অতিরিক্ত হাসার কারণে আমার পেটে চিন চিন ব্যথা শুরু হলো। আমি ওয়াশরুমে গেলাম এবং মুহূর্তের মধ্যে আমার সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে গেলো। আমি বুঝলাম হাসি তামাশা এবং অনাবিল আনন্দ দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

রাজপ্রাসাদের বাসিন্দা হিসেবে প্রতিনিয়ত অনেক কিছুই দেখি- কখনো চক্রান্ত, কখনো প্রহসন আবার কখনো মুনাফেকি। আমার মালিকের সামনে বসে লোকজন একধরণের কথা বলে। আবার পিছনে গিয়ে ঠিক উল্টোটা। স্বার্থে মিললে সবাই এক। আবার স্বার্থে সামান্য একটু আঘাত লাগলেই গোখরা সাপের মতো ফোঁস ফাঁস করে ওঠে। কিন্তু ঐ ফোঁসফাঁস পর্যন্তই। কারণ দংশন করার সাহস কিংবা হিম্মত ওদের নেই। ওরা ওদের লিঙ্গ পরিচয় হারিয়ে সবাই একই জাতি হয়েছে। ওরা এখন আর কেউ নারী কিংবা পুরুষ নয়। ওরা মুসলমান কিংবা হিন্দুও নয়- ওরা দালাল, ওরা স্বার্থপর, ওরা চক্রান্তকারী চাপাবাজ, ওরা বেইমান এবং মোনাফেক। তাইতো ওদের ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে আমি আমার লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করলাম না। কারণ ওদের পোলাও কোর্মা, চকলেট বিরিয়ানী খেতে খেতে আমি কি আদৌ বিড়াল আছি না অন্য কোন জানোয়ার হয়ে গেছি- এই নিয়ে ইদানিং আমার মনে ঘোরতর সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

কাগুর সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত ঘটনার কথা বলছিলাম। পূর্বেই বলেছি উল্টা পাল্টা খাবার খেয়ে আমার শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিয়েছে। আমার নিয়মিত জলত্যাগের সমস্যা হচ্ছে। আগের মতো এক সঙ্গে জলত্যাগ হয় না। বরং বুড়া মানুষের মতো ফোঁটা ফোঁটা করে দিনে ১০/১২ বার কর্মটি করতে হয়। একবার মনে হলো ডায়াবেটিস হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখলাম শরীরে ডায়াবেটিস নেই। মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেই জলত্যাগের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আপনারা হয়তো একটি বিড়ালের মুখে জলত্যাগের মতো প্রমিত বাংলার ব্যবহার দেখে বিস্মিত হচ্ছেন। আপনাদের দেশে জলত্যাগকে সাধারণত প্রশ্রাব বলা হয়। গ্রাম বাংলায় বলে মুত। দুটো শব্দই ভদ্র সমাজে বলা যায় না। অনেকে অশ্লীল ও অশ্রাব্য বলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। আমি অবশ্য অন্য কারণে প্রমিত বাংলার চর্চা করছি। আমার চারপাশে সবাই দিবারাত্র এতো বেশী অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে বিড়াল হলেও আমার মনে হচ্ছে এই অশ্লীলতা থেকে বের হওয়া উচিত। তাইতো গু মুতের মতো শব্দ বাদ দিয়ে বলছি বিষ্ঠা, জলত্যাগ ইত্যাদি।

যা বলছিলাম- নিজের জলত্যাগের সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যে নিজের অজান্তে দু'চার ফোঁটা বের হয়ে যায় বিভিন্ন জায়গা বেজায়গায়। একবার এক রাজপুরুষ আমাকে সোহাগ করে কোলে নিলো। তার কোলের ওপর বসে আমি আরাম ফরমাচ্ছিলাম আর উনি আমার শরীরের জায়গা-বেজায়গায় হাত বুলিয়ে আদর করছিলেন। আবেশে আমার ঘুম চলে আসছিলো। হঠাৎ টের পেলাম- কাজ হয়ে গেছে! বোধ হয় কয়েক ফোঁটা জলত্যাগ ঘটে গেছে। আমি ভারী ভয় পেলাম। আবার লজ্জাও পেলাম। কিন্তু আশ্চর্য আমাকে আদর সোহাগকারী লোকটি টেরই পেল না। ফলে কিছুক্ষণ পর কর্মটির জন্য আমি বেশ আনন্দিত ও আরাম বোধ করতে থাকলাম। মনুষ্য কোলে বসে ওম ওম শরীরে জলত্যাগের যে কি আনন্দ- তা কেবল সেই বুঝতে পারবে যে কিনা কর্মটি করার সুযোগ লাভ করেছে।

এই ঘটনার পর থেকে আমার নফস বড়ই দুষ্টামী আরম্ভ করলো। কারণ একমাত্র আমার মালিক ছাড়া যেই আমাকে কোলে নিতো এবং আদর সোহাগ করতো আমি সুযোগমতো তার কোলে দু'চার ফোটা জলত্যাগ করতাম। তারা এযাবতকালে কেউ আমার কুকর্মটি শনাক্ত করতে পারেনি। আমার মাঝে মধ্যে সন্দেহ হতো- হায় আল্লাহ! এদের কি নাক নেই! এরা কি ঘ্রাণ নেবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে! তো একদিন ভীমরুল কাগু আমাকে কোলে তুলে নিলো। তারপর পকেট থেকে একটি চকলেট বের করে আমাকে খাওয়ালো। প্রাসাদের মধ্যে একটি পদ্মপুকুর রয়েছে। কাগু আমাকে নিয়ে পদ্মপুকুরের ঘাটে বসলো। তখন সময়টা ছিলো বসন্তকালের পড়ন্ত বিকেল। মৃদুমন্দ বাতাসে আমার ঘন এবং রেশমী লোমগুলো উড়ছিলো আর সেখান থেকে ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ বের হচ্ছিলো। কাগু বারবার মাথা নুইয়ে আমার লোমের ঘ্রাণ শুঁকছিলো। এই সময় আমি খুব ভালো করে তার কেশহীন চটচটে টাক মাথা দেখার সুযোগ পাচ্ছিলাম। আমার বড়ই আফসোস হচ্ছিলো কাগুর জন্য। কারণ এতো সুন্দর বাতাস-অথচ সেই বাতাসে উড়াবার মতো কাগুর মাথায় একটি চুলও নেই -আহারে বেচারা!

আমার ভাবনা বেশীক্ষণ স্থায়ী হলো না। বরং মনে হলো- বিকেলের এই মনোরম পরিবেশে আমি কাগুর কোলে অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশী করে জলত্যাগ করি। কিন্তু হঠাৎ করে একটি ভাবনা মনে আসতেই আমার চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো! আমার মনে হলো- আচ্ছা সাধারন মানুষ লোকটিকে এতো ঘৃনা করে কেনো? রাজ প্রাসাদের সবাই কেনো তাকে নিয়ে হাসি তামসা করে। একদিন আমি আড়ালে দাড়িয়ে প্রাসাদের একজন ভালো মানুষের আক্ষেপ শুনছিলাম- তিনি বলছিলেন- লোকটিকে রাস্তা থেকে তুলে এনে আমার মালিক দায়িত্বপূর্ন পদে বসিয়েছিলেন এবং সবচেয়ে পবিত্রতম স্থানের ভার অর্পন করেছিলেন। দায়িত্ব পাবার সঙ্গে সঙ্গে লোকটি রাতারাতি বদলে যায়। ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, জুলুম, জাহেলী, মিথ্যাচার, অনাচার, ব্যাভিচার- এমন কোন কুকর্ম নেই যা সে করেনি। সারা শহরের রঙ্গবাসর বাসিন্দারা তার মনোরঞ্জনের জন্য সব কিছু করেছে। লোকটি নাকি ভিনদেশে গিয়েও নিয়মিত আকাম-কুকাম করে আসে।

লোকটি সম্পর্কে এসব কথা মনে আসতেই ঘৃণায় আমার সারা শরীর রি রি করে উঠলো। আমার পেট থেকে তার দেয়া চকোলেট বের হয়ে আসতে চাইলো। আমি নিজেকে সংযত করে বমি রোধ করলাম। কারণ লোকটির শরীরে বমি করতেও আমার রুচিতে বাধছিলো। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম- অনেকের কোলে জলত্যাগ করলেও এই লোকটির কোলে আমি ও কাজটি করবো না। ওর শরীর আমার জলত্যাগেরও উপযুক্ত জায়গা নয়। আমি লাফ দিয়ে ওর কোল থেকে নেমে পড়লাম এবং আমার বেডরুমের দিকে এগুতে থাকলাম। একবারও পেছনে ফিরে তাকালাম না।

জীবনের বহু দম ফাটানো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। রাজ প্রাসাদের একজন বাসিন্দা হিসেবে যা দেখেছি কিংবা যা শুনেছি অথবা যা বুঝেছি তার চৌম্বক অংশগুলো-আগামী দিনে আপনাদেরকে শোনাবো যদি আপনারা এই অধম বিড়ালের মুখ থেকে সেই সব কাহিনী শুনতে চান।

 

লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত
 

এই বিভাগের আরও খবর
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘কত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রি ডুবাচ্ছেন সেটা একবার ভাবেন’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‘একটা সিনেমা আটকে দেয়া মানে কতগুলো স্বপ্নকে দাফন করে দেয়া’
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
‌এবারের শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরও কালারফুল হবে
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারনেটে ২৬৮ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইলেন সারজিস
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
আগে সুন্দর করে একটু বাঁচি, তারপর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
হাসিনার কারণে বিএনপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী ড. ওয়াজেদ!
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
জামায়াত নেতাদের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
‘যে বলে কেন প্রেমে পড়েছি জানি না, ওরা মিথ্যা বলে’
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
মা অসুস্থ-বাবা কারাগারে, সেই দুঃসময়ের স্মৃতিচারণ করলেন মির্জা ফখরুলের মেয়ে
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সর্বশেষ খবর
শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

২ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৫০ মিনিট আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা