'জায়ান্ট মিলিবাগ' পোকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো:
পোকার নাম জায়ান্ট মিলিবাগ। কেউ কেউ বলেন ম্যাংগো মিলিবাগ। বঙ্গ ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইডেন কলেজের আশেপাশে আক্রমণ শুরু করে পোকাগুলো ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
এগুলো কিসের পোকা! কি খায়! এলো কোথা থেকে! এগুলো মানুষের কি ক্ষতি করে- এমনতরো হাজারো প্রশ্ন ফিরছে মানুষের মুখে মুখে। কোন সঠিক জবাব না পাওয়ার কারণে নানামুখী গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে থর থর করে কাঁপছে।
পোকাগুলো নাকি আফ্রিকা থেকে এসেছে। জনগণ বলছে, ওরে বাবা, আফ্রিকা থেকে এসব এলো কি করে। কোনো কোনো লোক বলছে, ওসব হলো আল্লাহর গজব। ওরা প্রথমে গাছপালা, ফলফলাদি এবং ফসল খাবে। তারপর মানুষ। আর যায় কই- এতেই সর্বনাশ যা হবার তা হয়ে যাচ্ছে- যে এলাকায় পোকা ঢুকেছে সেই এলাকা থেকে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার দিন জুমার নামাজে খুৎবা হলো। ইমাম সাহেবরা বললেন কিভাবে ফেরাউনের আমলে পোকামাকড়, ব্যাঙের উপদ্রব হয়েছিলো। ওসব পোকা এবং ব্যাঙ লোকালয় ছেড়ে ফেরাউনের প্রাসাদ এবং গুরুত্বপুর্ণ সরকারী অফিসগুলোতে নাকি হানা দিয়েছিলো। আর তাতেই অত্যাচারী ফেরাউন মুসা নবীর নিকট আত্মসমর্পন করে বনি ইসরাইল জাতিকে মুক্তি দিয়েছিলো।
এখন তো আর ফেরাউনের যুগ নেই। ডিজিটাল যুগ। সরকারের উচিত অতি দ্রুত বঙ্গভবন থেকে পোকা দূর করার পাশাপাশি দেশকে পোকামুক্ত করা। অন্যথায় সরল বিশ্বাসী মানুষজন ইচ্ছেমতো কল্পকাহিনী বানিয়ে এমন সব কাণ্ড করে বসবে যাতে করে ক্ষয়ক্ষতির সীমা পরিসীমা থাকবে না।
এই পোকার ধ্বংসাত্মক দিক নিয়ে ঠাট্টা মশকারার কোন অবকাশ নেই। এরা যে গাছে বসে তা শেষ করে দেয়। যে ফসলী জমিতে আশ্রয় নেয় তাও শেষ। বংশ বৃদ্ধি করে সুপার নিউমারি জ্যামিতিক হারে। একটি পোকা জন্ম দেয় হাজার হাজার বাচ্চা- তার মধ্যে এক সঙ্গেই নাকি ডিম পাড়ে ২/৩ শ করে। এই পোকার কারণে এবার এদেশে কাঠালের উৎপাদন হবে না। গরম ও পোকার কারণে আম ও লিচুর উৎপাদনও মারাত্মক ব্যাহত হবে। তারপর যদি ফসলী জমিতে আক্রমণ চালায় তাহলে গজব হতে আর বাকি থাকলো কি?