এই কয়টা বছর আমরা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় হেডলাইন হয়েছি পজিটিভ কারণে।
আর আজকে হেডলাইন হলাম একটা খারাপ কারনে। যে বা যারা সরকারকে বিভ্রান্ত করে এই কাজটা করিয়েছে তারা খুবই বাজে কাজ করলেন।
এখন আসেন আমরা সর্বশেষ ঘটনা ব্যাখ্যা করি। এবং আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করি।
আমরা মার্চ মাসে নিয়ম মেনে যৌথ প্রযোজনার জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির কাছে স্ক্রিপ্ট জমা দেই। রিডার্স প্যানেল সেটা পড়ে মার্চের বারো তারিখ অনুমতি পত্র দেয়। তার ভিত্তিতে আমরা ছবির শুট করি।
এই মাসের বারো তারিখ নিয়ম অনুযায়ী যৌথ প্রযোজনার প্রিভিউ কমিটি ছবি দেখে। পনেরো তারিখ তারা অনাপত্তি পত্র দেয়।
একদিন পর একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে একই কমিটি আমাদের চিঠি দিয়ে জানায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশক্রমে গতকাল ইস্যু করা অনাপত্তি পত্র স্থগিত করা হলো। এবং সেখানে কোনো কারণ পর্যন্ত ব্যাখ্যা করা হলো না।
অর্থাৎ কার্যত আমাদের ছবিটি এখন আটকে গেল। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই সাসপেনশন সাময়িক ।
এবং এটা বেআইনি কাজ হয়েছে। যে বা যাহারা সরকারের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজের ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর চেষ্টা করেছেন, তারা কেবল সরকারকে বিব্রতই করছেন।
সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আমরা কোনো ধরনের কপি রাইট লঙ্ঘন বা কোনো বেআইনি কাজ করিনি।
সুতরাং আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইবো এই আদেশের পেছনে কি কারন আছে। আমরা বিশ্বাস করি এই আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হবে। এবং আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনকে শ্রদ্ধা করা হবে।
নতুবা বাংলাদেশের আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত।
লেখক: চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা