শেখ হাসিনা না হলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হত না। বিচার না হলে ট্রাইব্যুনাল হত না, ট্রাইব্যুনাল না হলে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন করাদণ্ড হত না। কারাদণ্ড না হলে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ হত না। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের সমর্থন না পেলে গণজাগরণ মঞ্চ সফল হত না। সফল না হলে ইমরান এইচ সরকারের জন্ম হত না।
এই সহজ সরল সমীকরণটি না বুঝে থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণ নিয়ে ইমরান সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে যেভাবে অসম্মানিত করা হল, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি - বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে প্রগতির চাকাকে চলমান রাখার জন্য এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। মিথ্যা আবেগের বসে হটকারী কর্মসূচি সাম্প্রদায়িক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিকেই উৎসাহিত করবে। চেতনা ভুলুণ্ঠিত হবে। বাস্তব সম্মত চিন্তা করলে আমাদের মানতেই হবে, থেমিসের ভাস্কর্যের চেয়ে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার জন্য এ মুহূর্তে শেখ হাসিনাকেই অনেক বেশি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা দুর্বল হলে দুর্বল হবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। জেগে উঠবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি। তখন হয়তো থেমিসের ভাস্কর্যকে মূর্তি না বলার অপরাধে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, রাস্তায় নামা তো দূরের কথা।
(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/৩০ মে, ২০১৭/মাহবুব