৫৫ হাজার বর্গমাইল এর বাংলাদেশ সবার। সবাই এই দেশের নাগরিক। যে ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে তিনি একটি রাজনৈতিক সংগঠন করেন বলে প্রতিবাদ ও নিন্দা করা যাবে না- এই মানসিকতা কাম্য নয়। আবার এর প্রতিবাদে যে সম্প্রদায়ের উপর হামলা করা হয়েছে ঐটারও প্রতিবাদ করা অত্যাবশ্যকীয়।
এই পরিস্থিতি দমনে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাও প্রশংসার দাবি রাখে। কোনো অঘটন ঘটবে না এই রকম সমাজ পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাবেন না। দেখতে হবে এর প্রতিকার হয় কি না।
গতকাল যে দুটি ঘটনা ঘটে গেলো তা অবশ্যই কারও কাছে কাম্য নয়। প্রতিবাদ জরুরি কিন্তু এটা নিয়ে সহিংসতা ছড়ানো অন্যায় এবং নিন্দনীয়। যারা প্রতিবাদ না করে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছেন তারা দেশ ও জাতির শত্রু। সমাজটাকে নষ্ট করতে চাইছে, তারা এর বিচার কিংবা প্রতিকার চাইছে না।
রাঙামাটির ঘটনাকে ইস্যু বানাতে গিয়ে আসলে মূল ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছেন তারা। টঙ্গী এবং গাইবান্ধা'র ছবিগুলোকে লংগদুর ছবি বলে চালিয়ে দিয়ে আসলে আপনারা কি উদেশ্য হাসিল করতে চান? দায়িত্বজ্ঞানহীন সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু লোকজন যেমন এইসব ছবি প্রচার করছেন, ঠিক কিছু সংবাদ মাধ্যমেও ছবিগুলোতে ক্যাপশন দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। যা দুঃখজনক এবং রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকরও বটে।
ছবিগুলো যেমন ভুল ছবি, তেমনি সংবাদগুলো হুবুহু একই রকম। মনে হচ্ছে একই হাতে লেখা ... অদ্ভুত সাংবাদিকতা।সংবাদমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে সমাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। জাতির বিবেক সংবাদমাধ্যমকে এই দিকে আরও দায়িত্ববান হওয়া দরকার বলেই আমার বিশ্বাস ।
আপনি অন্ধ তাতে খুব একটা ক্ষতি নাই। পুরো জাতিকে অন্ধ করার অধিকার আপনার নাই। অন্ধ মানুষ কখনো কাউকে পথ দেখাতে পারে না। বিভ্রান্ত করে, বিপথগামী করে ।
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/৪ জুন, ২০১৭/ফারজানা