২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস আর্থ চলার সময়েও আমার একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আয়োজক বিচারকদের বিজয়ী তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়েছিল এবং পুরো তালিকাটাই বদলে ফেলেছিল। (কিছুই নতুন নয়।সবাই এরইমধ্যে আমার গল্পটা জেনে গেছে)
যাই হোক, বেশিরভাগ সময়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় আয়োজকরা প্রভাব কিংবা নিয়ন্ত্রণ খাটানোর চেষ্টা করে। বিচারকদের রায়কে অগ্রাহ্য করে। এটা অনেকবারই হয়েছে।
কিন্তু এক্ষেত্রে (বাংলাদেশের মিস ওয়ার্ল্ড আয়োজন) আমি ভাবছি, যেহেতু এটা প্রথম আয়োজন, কীভাবে তারা (আয়োজক কর্তৃপক্ষ) এত বড় ঝুঁকি নিতে পারে এমন কাউকে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাঠাতে, যে তার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যই নয়, যে পদক জিতেছে তার যোগ্য সে নয় এমনকি তার দেশের মানুষ তাকে সেরা সুন্দরীই মনে করে না।
যাই হোক, চূড়ান্ত ঘোষণার আগে তারা (আয়োজক) বিচারকদের কাছে কয়েকটি নাম প্রস্তাব করতে পারতো যারা জাতীয় এ পদকটি জেতার জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি যোগ্য।সুনামের জন্য হলেও, এই শিল্পে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্যও।
আমি অবশ্যই বলবো, আয়োজকরা অনেক বড় ভুল করেছে। যদি কেউ আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তারা নিজেদের লাইসেন্স হারাবে যেটি দেশের জন্য লজ্জা বয়ে নিয়ে আসবে। আর আমরাও এটা আশা করি না।
(প্রিয়তির ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/২ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা