রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’র ইমেজ এখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। এইসব সহ্য হয়নি বেগম জিয়ার।
তিনি মাত্র চিকিৎসা করে বিদেশ থেকে আসলেন। এমনিতেই পুরোপুরি সুস্থ থাকার কথা না। এরপরও সড়ক পথে রোহিঙ্গা দেখতে রওনা দিলেন। আকাশপথে না গিয়ে কেন সড়কপথের দীর্ঘ জার্নিতে গেলেন?
বিকেলেই উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে গেলো। বেগম জিয়ার নিজের এলাকায় তার গাড়ি বহরে হামলা হলো। আওয়ামী লীগ হামলা করলে বেগম জিয়ার গাড়িতে করতে পারে, সাংবাদিকদের গাড়িতে করবে কেন ? কিন্তু ওনার উপর কোনো হামলা হয়নি, কেন শুধুই সাংবাদিকদের উপর হামলা হলো ?
বিষয়টি পরিষ্কার। কারণ সাংবাদিকদের উপর হামলা হলে বিশ্বব্যাপী এটার প্রচার বেশি হবে। বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন হবে।
এক্ষেত্রে ম্যাডাম জিয়া বিএনপিপন্থী কয়েকজন সাংবাদিককেও হয়তো ব্যবহার করেছেন। সংবাদে দেখলাম যেই সাংবাদিক গুরুতর আহত, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। একঘন্টা পর সেই সাংবাদিককেই দেখলাম টিভিতে লাইভ সংবাদ দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া খাইলেন ৩০ পদের তরকারি দিয়ে, আর সাংবাদিকদের খাওয়ালেন লাঠির আঘাত।
বিষয়টি আশা করি শিগগিরই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, এই হামলাটি ছিল বিএনপির পূর্ব পরিকল্পিত। এই ঘটনা ঘটাবেন বলেই রিজভী আহমেদের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা ম্যাডাম জিয়ার সাথে রোহিঙ্গা সফরে যাননি। ওনাকে ঢাকায় পলিথিন অফিসে রেখে যাওয়া হয়েছে হামলা পরবর্তী মিডিয়া ব্রিফিংয়ের জন্য।
আমি হলফ করে বলতে পারি ম্যাডাম ফিরার সময় আকাশপথে ফিরবেন, সড়কপথে ফিরবেন না। কারণ ওনার নাটক ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।
(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/২৮ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব/ ই জাহান