কতোটা নির্লজ্জ হলে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই রাজনৈতিক অাদর্শের শিক্ষকরা দুইদিন পাল্টাপাল্টি মানববন্ধ করে সেটাই ভাবছি। ভাবছি কতোটা নির্লজ্জ হলে দুই পক্ষই দাবি করে তারা মার খেয়েছে। আসলে তো মার খেয়েছে সাধারণ মানুষ যাদের করের টাকায় বিশ্ববিদ্যালগুলো চলে।
পাবলিকের পোড়া কপাল যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দুর্নীতি আর অনিয়মে ডুবে আছে। আর বিবেকের কাছে যাদের দায়বদ্ধ থাকার কথা সেই শিক্ষকরা স্বার্থের দ্বন্দে হারাচ্ছে বিবেক। হায় শিক্ষকতা! হায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! নিজেরাই এরা মানুষ হতে পারে না, অন্যদের এরা কী মানুষ করবে!
অধ্যাপক মুনতাসির মামুন অাজ বলেছেন, শিক্ষকরা এখন শিক্ষক নন, তারা এখন আমলা। এটা একটা চাকরি, স্বয়ংক্রিয় প্রমোশন এবং সরকারে থাকার চেষ্টা করেন।
অামার মনে হয়, অনেক হয়েছে। অাইন করে এবার শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা হোক। তাদের নিয়োগ হোক তদবির ছাড়া। অার শিক্ষকদের মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হোক ছাত্রছাত্রীদের। নয়তো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাগাড়ে পরিণত হবে।
লেখক : হেড অব প্রোগ্রাম, মাইগ্রেশন ব্র্যাক।
(শরিফুল হাসানের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)