সম্প্রতি মিলার পারিবারিক জটিলতা এবং বিচ্ছেদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে কয়েক জনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে তাদের মধ্যে নওশীন, তিন্নি ও হিল্লোল অন্যতম। এবার এসব ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আদনান ফারুক হিল্লোল। তার অনুমতি নিয়ে পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
সম্প্রতি অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি একটি ইউটিউব চ্যানেলের ইন্টারভিউতে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, নওশীনের কারণে উনার সঙ্গে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছিল। যেটা আপাদমস্তক একটি ভুল তথ্য। যেটা নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার একটা প্রয়াস।
উনার (তিন্নি) সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে (কি কি ঘটেছিল তৎকালীন আমাদের কলিগ এবং সাংবাদিক মহল কমবেশি সবাই জানেন), ২০১১ সালের ২১ আগস্ট রাতে আমি আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাই। যেটা সম্বন্ধে উত্তরা পশ্চিম থানার ২/১ জন কর্মকর্তাও অবগত ছিলেন এবং সেই বাসাতে পরবর্তীতে তিনি আরও মাস তিনেক একা অবস্থান করেছিলেন। এর পরে কোথায়ও উনার সঙ্গে আমার কখনো দেখাও হয়নি। পরবর্তীতে ২০১১ সালের শেষে উনার সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এবং ২০১৩ সালের মার্চ মাসে নওশীনের সঙ্গে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন ঘটে এবং সেই থেকে আমরা সুখে-দুখে মিলেমিশে এক সঙ্গেই আছি এবং আল্লাহ চাইলে এক সঙ্গেই থাকতে চাই।
সম্প্রতি ডিজিটাল মিডিয়াতে উনি (তিন্ন) এবং উনাদের মিথ্যাচার আমাদের পুরো পরিবারের জন্য ভীষণ রকমের মানহানির কারণ ঘটছে। যেটা সাংঘাতিক রকমের একটা ক্রাইম।
আমি কখনো চাইনি এই সমস্ত বিষয় ডিজিটাল মিডিয়ায় আলোচনা করতে, কারণ আমার মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, তার বয়স ১০ বছরের ওপরে, ধীরে ধীরে তার নিজের একটা ব্যক্তিত্ব তৈরি হচ্ছে। এই সমস্ত আলোচনা তার বাড়ন্ত বয়সে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু বাধ্য হয়ে আমাকে আজ এগুলো শেয়ার করতে হলো। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
এছাড়া হিল্লোল মনে করেন, এসব ইস্যুকে পুঁজি করে হয়তো মেয়ের (হিল্লোল-তিন্নির মেয়ে, বর্তমানে তিন্নির সঙ্গে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন) সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে বা নষ্ট করে দিতে পারেন তিন্নি। হিল্লোল এটাও আশঙ্কা করছেন যে, মেয়ের সঙ্গে তার ফেসবুকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০১৯/আরাফাত