ফেনীর সোনাগাজীর আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নির্মমভাবে নিহত নুসরাত জাহান রাফির জন্মদিন ২০ নভেম্বর। ১৯৯৯ সালের এই দিনে নুসরাত সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম একে এম মুছা, মাতার নাম শিরিনা আক্তার।
নুসরাতের জন্মদিনের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্টাটাস দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘রায়হান তুই আপুরে কি গিফট দিবি-গত বছরের এই দিনে, এই কথাটি বলে, আজ তুই চিরনিদ্রায় শায়িত।
দু চোখের অশ্রু ছাড়া দেওয়ার মতো কিছুই নেই।
শুভ জন্মদিন আপুনি।’
রায়হানের এই স্ট্যাটাসটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
হাবিবা সুলতানা নামের এক নারী লিখেছেন, ‘অনেক ভালোবাসি তোমাকে। শুভ জন্মদিন আপুনি (নুসরাত)।’
সুবর্ণা আক্তার মিম লিখেছেন, ‘কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’
নুসাইফা ইসলাম কান্নার ইমো দিয়ে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আপুরে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক।’
মিলা আক্তার বলেছেন, ‘ভাই আর বলিসনা, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, চোখের পানি সামলাতে পারছি না।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ মার্চ তার নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার হাতে শ্লীলতাহানি শিকার হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অধ্যক্ষের অনুগতদের হাতে আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মৃত্যুবরণ করেন।
গত ২৪ অক্টোবর আলোচিত এ মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ এ হত্যা মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ আসামিকে মৃত্যু দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম