চলছে গ্রীষ্মের মৌসুম। নিয়ম অনুযায়ী ঘরে-বাইরে খুবই গরম। এই গরমের দিনে যে বিষয়টি মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলে তার একটি হলো ঘামাচি। দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার আটকে যায়। ঘাম বের হতে না পেরে চামড়াতে আটকে গিয়ে ঘামাচি হয়। এরফলে চুলকানি, যা থেকে নানা রকম সংক্রমণ। চুলকাতে গিয়ে অনেক সময় চামড়ায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। এতে চামড়ার ওপর কালো দাগও হতে পারে। অথচ এই যন্ত্রণা চিরতরে দূর করতে অবলম্বন করতে পারেন যেকোনো একটি উপায়।
নিম পাতা: ঘামাচি দূর করা এক ভালো উপায় হলো নিমপাতা বেটে শরীরে লাগানো। এরপর শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করতে হবে। নিমপাতার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীর থেকে ঘামাচির জীবানু দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য আপনি গরমের পুরো মৌসুম ঘামাচি মুক্ত থাকতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
এলোভেরা: এলোভেরার জেল বের করে ঘামাচি সংক্রমণ জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকোনো পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে নিন। ঘামাচি দূর হবে দ্রুত।
মুলতানি মাটি: ঘামাচি দূর করতে মুলতানি মাটিও খুব উপকারী। ৪ থেকে ৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ গোলাপজল ও পরিমান মতো পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় পেস্টটি লাগিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সব ঘামাচি দূর হয়ে গেছে।
লেবুর রস: যদি সহজভাবে ঘামাচি দূর করতে চান তাহলে প্রতিদিন একটু বেশি করে লেবু মিশিয়ে ২ থেকে ৩ গ্লাস শরবত পান করুন। কারণ ঘামাচি নিরাময়ে লেবুর শরবত খুবই কাজ করবে।
বরফ: ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় খুব ভালোভাবে বরফ ঘষে নিন। দিনে দু থেকে তিন বার বরফ ঘষলে ঘামাচি দূর হবে সহজেই।
বেকিং সোডা: এক কাপ ঠাণ্ডা পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। একটি পরিস্কার কাপড় এতে ভিজিয়ে নিংড়ে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগাতে হবে। উপকার পাবেন সহজেই।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ জনু, ২০১৫/মাহবুব