কিডনি থেকে শুরু করে ক্যানসার, হার্ট, হাড়, ডায়াবেটিস ক্যানসার এই সব কিছুর ক্ষেত্রেই অব্যর্থ ওষুধ টমেটো। প্রতিদিন একটা করে টম্যাটো খান। সেটা রান্না করেও খেতে পারেন বা কাঁচাও খেতে পারেন। স্যুপ করেও খেতে পারেন বা স্যালাদ করে। যেভাবেই খান না কেন সর্বগুণে ভরপুর এই টমেটো।
টমেটো কাঁচা খেতে পারেন। তরকারিতে দিয়ে খেতে পারেন। মাছ, মাংস, ডিম রান্নায় এই টমেটো দিতে পারেন। টমেটোতে ভিটামিন A, C, K, B6, ফলেট, পটাসিয়াম, থায়ামিন, নায়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ফাইবার রয়েছে। আসলে শরীরের পুষ্টি পূরণে যা যা থাকা দরকার, সব আছে টমেটোতে।
টমেটো ক্যানসার প্রতিরোধক। হার্টকে শক্তিশালী করে। হাড় মজবুত করে। রাতকানা রোগ সারায়। চুল পড়া কমায়। কিডনিতে পাথর জমে না। ওজন কমায়। বাতের ব্যথা কমায় টম্যাটো। ত্বক থাকে টানটান। হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। ডিহাইড্রেশন রোধ করে। ডিপ্রেশন কমায় টম্যাটো।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন সকালে খেতে হবে একটি করে টমেটো। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে টমেটোর বিকল্প নেই।
টমেটো, সেলারি, গাজর ও চাল। সঙ্গে পরিমাণ মতো নুন। এই সবজি চাল স্যুপ হেপাটাইটিস নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
টমেটো কেটে রস করে একটু চিনি মিশিয়ে মুখে মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করা যাতে পারে। ত্বক থাকবে মসৃণ। মুখে পড়বে না বয়সের ছাপ।
মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায় টমেটো। নিয়মিত টমেটো খেলে স্ট্রোকের আশঙ্কা কমে যায়। রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে টমেটো। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
টমেটোর লাইকোপেন ও ভিটামিন A অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেলস দূর করে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। টমেটোর কারণে DNA সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে টমেটো দেহের শর্করার মাত্রা বজায় রাখে। চিকিত্সকরাই বলছেন, প্রতিদিন একটা করে টমেটো অবশ্যই খান। তাহলে যখন তখন ছুটতে হবে না ডাক্তারের কাছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৫ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২২