লবণ, কাঁচামরিচ দিয়ে কদবেল মাখা। টক-ঝালের মাখামাখি স্বাদ। তবে শুধু স্বাদ নয়, পুষ্টি বিচার করলে কদ বেলের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হেলাফেলার এই কদবেল কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, আমলকি, আনারসের চেয়েও বেশি উপকারি।
১০০ গ্রাম কদবেলে রয়েছে ২.২ গ্রাম মিনারেল, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, শর্করা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫.৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন B ০.৮০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন C ১৩ মিলিগ্রাম।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কদবেল কিডনি সুরক্ষিত রাখে। লিভার ও হার্টের জন্যও উপকারি। কদবেলের ট্যানিন দীর্ঘদিনের ডায়েরিয়া ও পেট ব্যথা ভাল করে।
কলেরা ও পাইলসের প্রতিষেধক। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশায় কদবেল উপকারি। পেপটিক আলসারে কদবেল ভাল কাজ করে।
ডায়াবেটিসে ভাল কাজ দেয় কদবেল। রক্ত পরিষ্কার করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। শরীরের শক্তি বাড়ে। সর্দি-কাশিতে কদবেলের জুড়ি মেলা ভার।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, স্নায়ুর শক্তি বাড়ায়। ফুসফুসের চিকিৎসায় কদবেলের কার্যকরী ভূমিকা। মহিলাদের হরমোনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা কমায়।
স্তন ও জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধ করে কদবেল। কাঁচা কয়েত বেলের রস মুখে মাখলে ব্রণ ও মেছেতার সমস্যা কমে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর