রাতের ঘুম খুবই জরুরি। দিনের পর দিন রাত জাগা হলে, ঘুম কম হলে কিন্তু শরীর খারাপ হতে বাধ্য। শরীরে একাধিক সমস্যা এসে বাসা বাঁধে। আবার অনেকেই এমন আছেন যারা পর্যাপ্ত ঘুমনোর পরও ঘুমের ক্লান্তি থেকে বের হতে পারেন না। আবার অনেকে আছেন সারা রাত প্রায়ই জেগে কাটেন। নাক ডেকে অন্যের ঘুম নষ্ট করার মত ক্ষমতাও কিন্তু বহুজনের মধ্যে রয়েছে। যারা নাক ডাকেন তাদের এই সমস্যাকে কিন্তু মোটেই মজার ছলে নেবেন না। কারণ এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ।
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকার। তবুও এর যথাযথ কোনও চিকিৎসা হয় না। এর জন্য রয়েছে সচেতনতার অভাব। ঘুম না আসলে নিয়মিত ভাবে ঘুমের ওষুধ খাওয়া কিন্তু কোনও সমাধান হয়। এই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া কিন্তু শিশুদের মধ্যেও দেখা যায়। সম্প্রতি বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ২২ শতাংশের মধ্যে এবং মেয়েদের ১৭ শতাংশের মধ্যে এই সমস্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। আর সেই সমস্যার পিছনে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে আমাদের জীবনযাত্রার। বিশেষজ্ঞরা তাই সব সময় জোর দিতে বলছেন প্রতিদিনের জীবনযাত্রায়।
অতিরিক্ত ওজন কিন্তু এই স্লিপ অ্যাপনিয়ার অন্যতম কারণ। আর তাই প্রথমেই ওজন ছেঁটে ফেলতে হবে। কোনও ভাবেই তা বাড়তে দেওয়া চলবে না। ওজন বাড়লেই কিন্তু সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসবেই। সমীক্ষায় দেখা গেছে- যাদের ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু শারীরিক ঝুঁকিও বেশি অনেকটাই। সমীক্ষায় দেখা গেছে- যাদের ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যাও অনেকটাই বেশি।
তাই ফ্যাটযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। কম ক্যালোরির খাবার খান। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে পারলে তবেই উপকার। ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন। যে কোনও সমস্যাকে অনেক বেশি জটিল করে দেয় এই অভ্যাস। ধূমপানের প্রভাব পড়ে শ্বাসনালীতে। যে খান থেকে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্য়া বেড়ে যায় অনেকখানি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন। অর্থাৎ ঘুমের ঠিক আগে মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি এসব থেকে দূরে থাকুন। বরং কিছুটা সময় মেডিটেশন করে তবে ঘুমাতে যাব। এতে ঘুম ভাল হয়। সেই সঙ্গে নাক ডাকার মত সমস্যাও কিন্তু দূর হয়। আর পাশ ফিরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতেও নাকডাকা কমে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ