মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একই মঞ্চে পৃথক ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকরের খবর পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ডন, ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া, ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি) ও আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো গরুত্বের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা ‘বাংলাদেশে দুই বিরোধী নেতার মৃত্যুদণ্ড’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণের শিরোনাম ছিল ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধে বাংলাদেশের দুই বিরোধী নেতার ফাঁসি’। ইসলামী নেতা আলী আহসান মুজাহিদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্ষমাভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ খারিজ করে দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিবিসি অনলাইন সংস্করণের প্রধান খবরে সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির খবর। আন্তর্জাতিক এই সংবাদ মাধ্যমটি শিরোনাম করেছে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধে বাংলাদেশ চৌধুরী ও মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদপত্র দ্য ডন শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশ বিরোধী জামায়াত নেতার ফাঁসি কার্যকর করছে’। ১৯৭১ সালের স্বাধীতাযুদ্ধে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশে শীর্ষ দুই বিরোধী নেতাকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করে পত্রিকাটি।
ডন বলছে, ৬৭ বছর বয়সী মুজাহিদকে ১৯৭১ সালে দেশটির শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মতো যুদ্ধাপরাধে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। মুজাহিদ জামায়াতে ইসলামের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে, ১৯৭১ সালে নৃশংসতা যেমন গণহত্যার জন্য ৬৬ বছর বয়সী সাকা চৌধুরীর মৃতুদণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির ছয়বারের সংসদ ছিলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/২২ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব