মানবতা বিরোধী অপরাধে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়েত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর নিয়ে পাকিস্তান ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সমালোচনা করলেও এই প্রশ্নে যে কোনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রকাশ্য সমর্থন জানাতে পারে নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয় সূত্রে খবর আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে বিচারেরর পরই এই দণ্ডাদেশ কার্যকর করেছে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টও তাদের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছে। তাছাড়া সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন রয়েছে সরকারের এই পদেক্ষেপে। ভারতও মনে করে এই দুই জন একাত্তরের গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এবং বাংলাদেশ সরকার এই দুইজনকে ফাঁসি দিয়ে প্রকৃত বিচারই করেছে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান যদি কোন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করে সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের পাশেই দাঁড়াবে নয়াদিল্লি।
ভারত সরকারের মতে, যুদ্ধাপরাধী এই নেতার ফাঁসির পরই বাংলাদেশে উত্তেজনা তৈরি করতে সচেষ্ট জামাত ইসলামের মতো মৌলবাদী শক্তিগুলি। কারণ ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর মতো জঙ্গি সংগঠনেরও কোনো অস্তিত্ব বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও বাংলাদেশের মাটিতে মধ্যপ্রাচ্যের সন্ত্রাসী সংগঠনটি পা রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এর কোন ভিত্তি নেই।
প্রসঙ্গত মানবতাবিরোধী অপরাধে সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের ইস্যুতে পাকিস্তানের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের এই সমালোচনাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তান সরকারের পাশাপাশি সেদেশের তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানও ফাঁসি কার্যকর নিয়ে বাংলাদেশের বিষেদাগার করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা