বাবার খুনের ১২ বছর পর নৃশংস প্রতিশোধ নিল ছেলে। বাবার খুনিকে হত্যা করে তারপর ১২ টুকরা করে সেই লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিল ছেলে। সভ্যতার বর্বচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আলম খানকে সোমবার আটক করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।
ঘটনার কথা স্বীকার করে আলম জানিয়েছে, ২০০৩ সালে তাঁর বাবাকে খুন করেছিল মুহম্মদ রিয়াজ নাম তারই বাবার এক বন্ধু। তখন আলমের বয়স ছিল ১২। নিজের সামনেই বাবাকে খুন হতে দেখেছে সে। এরপরই মনে মনে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরি হয় আলম। অবশেষে ১২ বছর পর গত সপ্তাহে আলমের সামনে সুযোগ আসে প্রতিশোধ নেওয়ার। মুহম্মদ রিয়াজকে মদ্যপানের জন্য নিজের বাসায় ডাকে আলম। মদ্যপানের পর অচেতন হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। এরপর ধারালো ছুরি ও করাত দিয়ে রিয়াজের লাশটি ১২টি টুকরা করে আলম। তারপর এক বন্ধুর সহায়তায় লাশের টুকরাগুলো একটি পলিথিনের প্যাকেটে ভর্তি করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় ওই যুবক। কিন্তু নদীর পাড়ে সেই লাশের প্যাকেট ভেসে উঠতেই অস্ত্রোপচারের চিহ্ন দেখে পুলিশ রিয়াজের লাশ হিসেবে শনাক্ত করে।
রিয়াজকে ১২টি টুকরা করার সময় মিউজিক সিস্টেমের ভলিউম পুরো করে দেওয়া হয়েছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছে আলম খান। যদিও বাবার খুনের পর কখনও খুনির নাম প্রকাশ্যে আনেনি আলম। উল্টে গত এক যুগ ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল সে। অবশেষে মধুর প্রতিশোধ নিতে পেরে তার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে বলেও জানিয়েছে আলম।
পুলিশ সুপার রাম সুরেশ যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আলম তার নিজের দোষ স্বীকার করেছে। আলমের মোরাদাবাদের বাসা থেকে ছুরি, হাতুড়ি, করাতসহ খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব