আগের বছরের চেয়ে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবসা ৩৫% বেড়েছে। তা ১০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাপী অস্ত্র মার্কেটে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও মার্কিন অস্ত্র এখনও শীর্ষে রয়েছে বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সর্বশেষ পর্যালোচনায় এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের অধীনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সেন্টার ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ পর্যালোচনা চালিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করেছিল ২৬.৭ বিলিয়ন ডলারের। ২০১৪ সালে তা বেড়ে ৩৬.২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। কাতার, সউদি আরব এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে অস্ত্র বিক্রির চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এ সুফল পাচ্ছেন বলেও কংগ্রেসনাল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সারাবিশ্বে যত অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে, তার অর্ধেক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই হচ্ছে একমাত্র দেশ, যারা সবচেয়ে বেশী অস্ত্র উৎপাদন ও বিক্রি করে। দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া ২০১৩ সালে ১০.৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। ২০১৪ সালে ছিল ১০.২ বিলিয়ন ডলার। ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে সুইডেন রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুথ স্থান দখল করেছে ফ্রেঞ্চ, ৪.৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে। পঞ্চম শীর্ষ অস্ত্র বিক্রয়কারি রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত হয়েছে চীন-২.২ বিলিয়ন ডলার।
অপরদিকে, ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশী অস্ত্র ক্রয় করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর পরিমাণ হচ্ছে ৭.৮ বিলিয়ন ডলার। নর্থ কোরিয়ার সাথে তাদের উষ্ণ উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় সর্বাধুনিক অস্ত্রপাতি ক্রয়ে তারা অধিক মনোযোগী হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সে বাজার ধরে রেখেছে। ৭ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র ক্রয় করেছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার পরই রয়েছে ইরাক। তারা ক্রয় করেছে ৭.৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। ব্রাজিল ক্রয় করেছে ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। ব্রাজিল মূলত: সুইডেনের এয়ারক্রাফট ক্রয় করে।
বিশ্বব্যাপী অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে কংগ্রেসের পর্যালোচনায় আরো উদঘাটিত হয়েছে যে, ২০১৪ সালে মোট ৭১.৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে। এর আগের বছর ছিল ৭০.১ বিলিয়ন ডলার। চলমান মন্দার কারণে অস্ত্রের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবৃদ্ধি ঘটেনি বলেও ঐ রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে। যদিও টানা দু’বছরের মত অস্ত্রের বাজারে স্থিতি বজায় ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা