ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বেড়ে ৭-এ পৌঁছেছে। আজ সকালে জাতীয় নিরাপত্তা গার্ডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ওই কর্মকর্তার নাম নিরঞ্জন কুমার। আজ সকালে ঘাঁটিটিতে চিরুনি অভিযান চালানোর সময় একটি আইডি বোমার [ইমপ্রভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস] বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নিরঞ্জন কুমারসহ আরো কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পাঠানকোট ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় মোট কতজন সেনা সদস্য মারা গেছেন তা ছিল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছিল। তা দূর করতেই আজ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডনের
গতকাল শনিবার সকালের দিকে কমপক্ষে ৫ জন সন্ত্রাসী মিলিটারি ইউনিফর্ম পরে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এ সময় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে সব হামলাকারীর মৃত্যু হয়।
হামলাকারীরা পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জয়শ-ই মোহাম্মদের সদস্য বলে ভারতের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে। বড় ধরনের হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসীদের। তবে তা ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, আজ সকালের দিকে পাঠানকোটে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এর প্রেক্ষিতে এর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আরো ২ জন সন্ত্রাসী ঘাঁটিটির ভেতরে এখনো অবস্থান করছে বলে সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে নতুন করে অপারেশন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে হামলার তদন্তের দায়িত্বভার নিতে ইতোমধ্যে পাঠানকোটে পৌঁছেছে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনঅাইএ'র আট সদস্যের একটি দল।
অপরদিকে, এই অঞ্চলে 'সন্ত্রাসবাদের আতঙ্ক' দূর করার লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে পুনরায় সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে গতকাল একথা বলা হয়। পাঠানকোটে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মধ্যেই দেশটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলো।
বিডি-প্রতিদিন/৩ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ