জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় এক শীর্ষ সম্মেলন আজ শুক্রবার শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে একটি শান্তিচুক্তির অগ্রগতি এবং টোকিওর দাবি করা রাশিয়ার দখলকৃত একটি ছোট দ্বীপপুঞ্জে অর্থনৈতিক প্রকল্প গ্রহণের বিষয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হয়।
এদিকে জাপান ও রাশিয়ার নেতারা এক শীর্ষ বৈঠকে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা আবার চালু করা এবং বিরোধপূর্ণ কুরিল দ্বীপপুঞ্জে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা শুরুর ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। খবর এএফপি’র।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত অ্যাবের নিজ শহরে এক বৈঠকে মিলিত হন। ওইদিন জাপানের নাগোতায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় কুরিল দ্বীপপুঞ্জের বিষয়টিও থাকবে বলে আগে থেকেই প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। এ দ্বীপ নিয়ে বিরোধের কারণেই দেশ দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি টানতে পারেনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে অবস্থিত ৪টি দ্বীপ দখল করে নেয়।
১৯৫৬ সালে জাপান ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাপান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়া সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। এ সময় আবে সেখানকার শোচনীয় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সিরিয়া বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ সমস্যার সমাধানে আলোচনা করবেন।
পুতিন দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার জাপান পৌঁছান। প্রায় এক যুগ পরে রাশিয়ার কোনো প্রেসিডেন্ট জাপান সফরে গেলেন।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতার ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কটি অন্যতম বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টায় ভাটা পড়ে। তবে শিনজো আবে সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাপান রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম