কর্পোরেট কাঠামোর মতোই প্রতি মাসে বেতন পায় জঙ্গিরা। উৎসাহভাতা আছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার জন্য। বিশেষ বিমারও বন্দোবস্ত আছে। আর ‘কর্মরত’ অবস্থায় মৃত্যু হলে আছে মোটা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা।
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো নাকি এভাবেই চলছে, দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের। দেশটির সংবাদমাধ্যম আজকাল জানায়, জম্মু ও কাশ্মীরের নানা জঙ্গি ঘাঁটিতে এভাবেই চলছে সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ। প্রতিটি জঙ্গিদলের নিজস্ব তহবিল রয়েছে। সেখান থেকেই যাবতীয় খরচ মেটানো হয়। ঘাঁটিগুলোতে সাধারণত দুই ধরনের জঙ্গি থাকে। দেশি ও বিদেশি।
বিদেশি জঙ্গিদের বেশি বেতন দেয়া হয়। দেশি জঙ্গিরা তুলনায় কিছুটা কম বেতন পায়। জঙ্গি দলে নাম লেখানোর সময়ে বিদেশি জঙ্গিরা পায় এককালীন ৫০ হাজার টাকা। আর দেশীয় জঙ্গিরা ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পায়। বিদেশি জঙ্গিদের মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা। ভারতীয় জঙ্গিরা পায় মাসে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা।
তবে বৈষম্য নেই জঙ্গিদের অবসরকালীন ভাতায়। ভারতীয় এবং বিদেশি, দুই ক্ষেত্রেই জঙ্গিরা এককালীন দুই লাখ টাকা পায়। দক্ষতা দেখাতে পারলে বছরে একবার পুরস্কার দেওয়া হয় দলের সেরা জঙ্গিকে। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। প্রতিটি দলের প্রধান পায় মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন। কোনও হামলা করতে গিয়ে জঙ্গি মারা গেলে তাকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা ও মাসিক ভাতা হিসাবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ভারতীয় জঙ্গিরা মারা গেলে তাদের পরিবারকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা ও মাসে তিন হাজার টাকা ভাতা দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা