দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন চলছে। তবে নতুন করে এর পাশাপাশি অন্য সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের ওপরও নির্যাতন শুরু হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে কাচিন ও শান রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ চলছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক অফিসের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র পিয়েরে পারোন এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনীর নির্যাতনে সীমান্তবর্তী কয়েকটি প্রদেশের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে চীনে। ওসিএইচএ বলেছে, ২০ নভেম্বর থেকে শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ শরণার্থী হয়েছে। এর বাইরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৪০০ মানুষ। কাচিন ও শান রাজ্যে লড়াইরত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও পুলিশি পোস্টের ওপর হামলা চালায় চারটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপের জোট। তারপর থেকেই ওই এলাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্য বিঘ্নিত হচ্ছে।
নিজেদের ভূখন্ডের ভেতর গোলা ও বুলেট পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের উত্তরের সীমান্ত পাহাড়ময়। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই লড়াই এখন নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে যে পরিমাণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে তাতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে (রাখাইন রাজ্যে) দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাজে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। সেখানে সরকারি বাহিনী শুরু করেছে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’। এদিকে সেনাবাহিনী বলেছে, তারা শান রাজ্যে অভিযান আরও জোরদার করবে।
বিডি প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল