সাধারণত বলা হয়ে থাকে, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯৪৫ সালের ১৯ আগষ্ট টোকিও যাবার পথে তাইওয়ানে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তবে তার মৃত্যুর সঠিক তারিখ ও স্থান সম্পর্কে এখনো বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। আর তার দেহাবশেষও কোনোদিন উদ্ধার করা যায়নি। ভারতে জন্ম নেওয়া এই মনীষীর মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি আরো কিছু বিতর্কিত তথ্য প্রকাশ পায়।
জানা যায়, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক তথা ভিয়েতনাম বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্রিস্টোফার গোসচারের ১৯৯৯ সালে লেখা ‘থাইল্যান্ড অ্যান্ড দ্য সাউথইস্ট এশিয়ান নেটওয়ার্কস অব দ্য ভিয়েতনামিস রেভ্যুলিউশন’ বইতে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুর ব্যাপারে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
প্রফেসর ক্রিস্টোফারের লেখা বইয়ের রেফারেন্স টেনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কিত গবেষক অধীর সোম জানিয়েছেন, ১৯৪৫ সালের নভেম্বরে সম্ভবত হ্যানোইয়ে ছিলেন নেতাজি। এই বিষয়ে প্রফেসর গোসচার সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে এবং এই বিষয়টি নিয়ে গবেষক সোম গোসচাকে গত ১২ অক্টোবর ই-মেইলও করেছেন। ফরাসি ফাইলে ‘চন্দ্র বোস’ পরিচয় নিয়ে খোলসা করে জানতে চেয়েছেন। কারণ গোসচা যার উল্লেখ করেছেন তাকে চন্দ্র বোস বলে সম্বোধন করেছেন। তবে গবেষক সোমের মতে, তিনি যতদূর জানেন- সেই সময়ে নেতাজির ভাই শরৎ চন্দ্র বসু জেলে ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি ফ্রান্সের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভিয়েতনামিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ফলে এটা নিশ্চিত যে, শরৎ বোস সেই সময়ে হ্যানোইতে ছিলেন না। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর সেভেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার