হৃদস্পন্দন থমকে নয়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়েছিলেন। কারণ, তিনি নিজেই আর বেঁচে থাকতে চাননি। মালয়েশিয়ার একটি দৈনিকের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে জয়ললিতা হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তাকে জীবিত অবস্থায় কেউ আর প্রকাশ্যে দেখেননি। ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুর পর জয়ললিতার শেষ দেখা পান অনুরাগীরা।
এবেলার ওই খবরে বলা হয়, অসুস্থ হয়ে জয়ললিতা দু'পায়ে হাঁটা-চলা করার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। হেঁটেই হাসপাতাল থেকে বের হবেন এমন জেদ ধরেছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দেয়ায় শেষ দিকে হতাশ হয়ে পড়েন জয়ললিতা। তাই নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ শশীকলার কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য বারবার আব্দার করতে থাকেন।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর শশীকলার বিরুদ্ধে অনেকে 'বিষ প্রয়োগ' এর অভিযোগ এনেছিলেন। এমনকি, অভিনেত্রী গৌতমীও জয়ললিতার মৃত্যুতে তদন্তের দাবি জনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা