বোকোহারামের মূল ঘাঁটি নাইজেরীয় সেনারা দখল নিয়েছে। শনিবার এমনটাই দাবি করেন নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদু বুহারি। তিনি জানান, সামবসিয়া জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে ছিল বোকোহারাম জঙ্গি সংগঠনটি। গত শুক্রবার দুপুরে সেই ঘাঁটির দখল নেয় সেনা। তবে কোন জঙ্গিকে ধরতে পারেনি। সেনা অভিযানের আগেই সেখান থেকে তারা পালিয়ে যায়।
তবে খুব বেশি দূরে বোকোহারাম জঙ্গিরা পালাতে পারবে না বলে দাবি করেছেন রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদু বুহারি। তিনি জানান, ‘জঙ্গল গভীর হওয়ায় প্রাথমিকভাবে জঙ্গিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে খুব সহজেই তাদের প্রত্যেককে ধরে ফেলা হবে।’ গোটা জঙ্গলের চারপাশ সেনারা ঘিরে রেখেছে বলেও শনিবার দাবি করেন বুহারি।
নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত বরাবর একাধিক এলাকায় দীর্ঘ প্রায় সাতবছর ধরে নিজেদের মুক্তাঞ্চল বানিয়ে রেখেছে বোকোহারাম জঙ্গিরা। পনেরো হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে তারা। কয়েক লক্ষ মানুষকে তুলে নিয়েও যায় এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি। শরিয়াত আইন জোরপূর্বক জারি করার জন্যই উগ্র মুসলিম এই জঙ্গি গোষ্ঠীর আবির্ভাব।
যদিও নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতির দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদ মাধ্যম। এর কারণ বেশ কয়েক মাস এই ধরনেরই একটি দাবি করেন মুহাম্মাদু বুহারি। তার দাবি করার ঠিক কয়েকদিন পরেই নাইজেরিয়ায় এক মেয়েদের স্কুলে হামলা চালায় বোকোহারাম। একটি বাসে করে একশোর কাছাকাছি ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় তারা। পরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করে।
তবে ঘটনা যাই ঘটুক না কেন বুহারি জানিয়েছেন, ‘আমাকে গত শুক্রবার বার অর্থাৎ ২৩ তারিখ এক সেনা কর্মকর্তা জানান, দুপুর দেড়টার কিছু সময় পর বোকোহারামের ঘাঁটিতে হামলা চালায় নাইজেরীয় সেনা। গুড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের মূল ঘাঁটি। তবে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। তাদের খোঁজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।’
বিডি প্রতিদিন/২৫ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল