দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ আর্জেন্টাইন সামরিক সাবমেরিনের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষতিয়ে দেখছে তদন্তে নিয়োজিত থাকা রাশিয়ান প্যানথার প্লাস সাবমেরিন। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর ৪৪ ক্রু নিয়ে নিখোঁজ হয় ‘এআরএ সান জুয়ান সাবমেরিন’।
এ ব্যাপারে আর্জেন্টিনা নৌবাহিনী জানিয়েছে, সোনার পরীক্ষায় (শব্দাঘাতের প্রতিধ্বনি রেকর্ডের মাধ্যমে সমুদ্রতলে সাবমেরিন বা অন্য কোনো কিছুর অবস্থান শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া) নিখোঁজ ‘এআরএ সান জুয়ান সাবমেরিন’র অবস্থান পাওয়া গেছে। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সাবমেরিনটির সঙ্গে যেখান থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় তা থেকে তিনঘণ্টা দূরে রাডারে ‘বিস্ফোরণের মতো অপ্রত্যাশিত’ শব্দ শোনা গেছে।
নিখোঁজ হওয়ার আগে আর্জেন্টিনার ইউশিয়ার ঘাঁটি থেকে বুয়েন্স আয়ার্স থেকে দক্ষিণে মার ডেল প্লাটা ঘাঁটিতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয় এআরএ সান জুয়ান। ওই সময়ই সাবমেরিনটির সঙ্গে সবশেষ যোগাযোগ হয় আর্জেন্টাইন নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের। তখন সাবমেরিনটি পাতাগোনিয়া উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থান করছিলো।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সাবমেরিনটি উদ্ধারে আর্জেন্টিনাকে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় ১৩টি দেশ। এর মধ্যে ওই ঘটনায় বরখাস্ত হন আর্জেন্টিনা নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মার্সেলো স্রুর।
বিডি প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর ২০১৭/ওয়াসিফ