ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত ঘোষণা 'জেরুসালেম হবে ইসরায়েলের রাজধানী’- এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুক্রবার 'বিক্ষোভের দিন' ঘোষণা করেছিল ফিলিস্তিনির। এরই জেরে গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে যখন পাথর ও হাতবোমা ছুড়ছিল, তার জবাবে ইসরায়েলি সেনারা তাদের দিকে গুলি চালায়। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত ফিলিস্তিনি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার পশ্চিমতীর ও গাজায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি। জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশত ফিলিস্তিনি।
ইসরাইলের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্তত চার হাজার বিক্ষোভকারী শুক্রবার সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল। বিক্ষোভকারীরা আগুন বোমা, পাথর এবং টায়ারে আগুন লাগিয়ে তাদের দিকে ছুড়ে মারছিল। বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত্র করতে তারা কেবল কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন। তবে আরও কয়েকজন সেনা গুলি ছোড়ার কথাও স্বীকার করেছেন। তারা স্বীকারোক্তি হিসেবে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা যখন সীমান্তের বেড়া ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল, তখন তারা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন।
গাজায় বিক্ষোকারীদের স্লোগান ছিল- 'আমেরিকা নিপাক যাক, ইসরায়েল নিপাক যাক, ট্রাম্পের মরণ হোক।'
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য করে জঙ্গি সংগঠন হামাস রকেট ছোড়ার পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং বিমান বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে৷
ডিসেম্বরের ৬ তারিখে ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন ফিলিস্তিনি। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে শুধু ফিলিস্তিনিরাই নন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিসেম্বরের ১১ তারিখ প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে। জাতিসংঘের ১৯৩ জন সদ্যের মধ্যে ১২৮ জন এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন। ৯ জন এর বিপক্ষে ভোট দেন।সূত্র: ডয়চে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/৩০ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত