ভারতের সর্বোচ্চ আদালত গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুমতি দিলেও এখনো আলোচিত শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেনি নারীরা। রবিবার সকালে ১১ সদস্যের একটি নারীদল মন্দিরে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধা সম্মুখীন হন। তাদের সবার বয়স ৫০ বছরের নিচে। পরে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয় কেরালা পুলিশ। তারা ওই নারী প্রতিনিধি দলকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানায়। তবে কেরালা পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
চেন্নাইয়ের ‘মানিথি’ নামের একটি সংগঠনের ওই নারীরা রীতি অনুযায়ী জঙ্গলপথ ব্যবহার করে পাহাড়ে আরোহন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উপাসকদের বাধার মুখে তারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে তাদেরকে ঘিরে রাখে।
ওই দলের তিলকাবতী নামের এক নারী বলেছেন, আয়াপ্পার মন্দির দর্শন এবং সেখানে পূজা দিতে না পারা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
মন্দিরে প্রবেশের এটাই প্রথম চেষ্টা নয়। এর আগে অনেক নারী এটা করে ব্যর্থ হয়েছেন। কেরালার সবরিমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ওই মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকারের অনুমতি দিয়ে রায় ঘোষণা করে। আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে মন্দিরের উপাসকরা তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত অনেক নারী মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা