সুদের হার বাড়ানোয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যানের ওপর রেগে আগুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আইনি পথে তাকে ছেঁটে ফেলা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সুদের হার বাড়ালে বড় ভুল হবে। কয়েক দিন আগে টুইটে মার্কিন ফেডেরাল রিজার্ভকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরেও সুদ বাড়ানোয় বেজায় ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট। এতটাই ক্ষেপা যে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তাকে কীভাবে আইনি পথে সরানো যায়, তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীদের সঙ্গে পরামর্শও করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিছুদিন আগেই জ্যানেট ইয়েলেনকে সরিয়ে, পছন্দের জেরোম পাওয়েলকে ফেড রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদে বসান প্রেসিডেন্ট নিজেই। অথচ তিনিই সুদের হার বাড়ানোয় পছন্দের লোকের ওপর রেগে আগুন ট্রাম্প।
শুধু তাই নয়, দেশের ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতার প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টদের যে সম্মান রয়েছে, তাকে কার্যত উপেক্ষা করেই সর্বোচ্চ ব্যাংকের নিন্দায় সরব ট্রাম্প। শাট ডাউন নিয়ে এমনিতেই খানিকটা চাপে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে মতবিরোধে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। শনিবার থেকে আংশিক অচল সরকার। বড় অংশের সরকারি কর্মীর বেতন বন্ধ। বড়দিনের ছুটির আগে অচলাবস্থা কাটবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের সব বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের একটি বিল অনুমোদন করেছিল প্রতিনিধি সভা। বিলে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত ৫০০ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্টের এই দাবি নিয়ে সেনেটের সদস্যদের মতবিরোধ শুরু হয়। ক্রিসমাসের ছুটির আগে জট না কাটলে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিনেটররা।
বিডি প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর ২০১৮/আরাফাত
