অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করেন লক্ষ্মী ঠাকুর (৩৬) নামে ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক নারী। বৃহস্পতিবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তিনি যখন আত্মহত্যা করেন তখন তার সন্তানও পৃথিবীর আলো দেখে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের কাতনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত লক্ষ্মী ঠাকুরের আরও চার সন্তান রয়েছে।
লক্ষ্মী যখন ফাঁস নিয়ে ঝুলে পড়ে তখন সদ্যজাতও মায়ের শাড়িতে পেচিয়ে ঝুলে থাকে। এমন সময় সেখানে উপস্থিত হয় লক্ষ্মী ঠাকুরের স্বামী সন্তোষ। অবস্থা দেখে হতভম্ব হয়ে যান। মুহূর্তেই সরকারি জরুরি নাম্বারে ফোন করেন। খবর দেন পুলিশে। দ্রুতই সেখানে পৌঁছে যায় উদ্ধারকারীরা। তারা নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শিশুটি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে পরিচর্যা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় থানার সাব-ইন্সপেক্টর কবিতা সাহনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমরা যখন পৌঁছায় তখন লক্ষ্মী মারা গিয়েছে। কিন্তু ওর শাড়ির মধ্যে দু-পায়ের ফাঁকে কিছু একটা রয়েছে বলে মনে হয়। শাড়ি সরিয়ে দেখি নাড়ি থেকে ওর সদ্যোজাত সন্তান ঝুলছে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন