কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন ঘর ছেড়ে পালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খবর বিবিসির।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডা সব সময় মানবাধিকার ও নারীদের অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে দাঁড়ায়। জাতিসংঘ থেকে আল-কুনুনের পক্ষে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করা হলে আমরা তা গ্রহণ করি।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) কানাডার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সংস্থাটির হাইকমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি বলেন, কিছুদিন ধরে আল-কুনুনের দুর্দশা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। তার সংকট বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের দুর্দশার কথাই মনে করিয়ে দেয়।
এদিকে আল-কুনুন ইতিমধ্যেই টরোন্টোর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রধান সুরাহাতে হাকপার্ন জানিয়েছেন, কোরিয়ান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে আল-কুনুনকে কানাডায় পাঠানো হয়েছে। উড়োজাহাজটি কিছু সময়ের জন্য সিউলে যাত্রাবিরতি করবে।
অন্যদিকে কানাডা ছাড়া আরও কয়েকটি দেশ আল-কুনুনকে আশ্রয় দিতে আগ্রহী হবে জানা গেছে। এসব দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে।
এর আগে গত শনিবার পরিবারের সঙ্গে কুয়েত যাওয়ার পথে ব্যাংককে পালিয়ে আসেন আল-কুনুন। ব্যাংকক বিমানবন্দরে আটক হওয়ার পর সৌদি এই কিশোরী দাবি করেন, তার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা রয়েছে এবং তিনি এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে কানেকটিং ফ্লাইট ধরবেন। কিন্তু বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট একজন সৌদি কূটনীতিক কেড়ে নিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত