জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগরের আকাশে চীন ও রাশিয়া কৌশলগত বোমারু বিমান দিয়ে মহড়া চালিয়েছে। এই নিয়ে গত এক বছরের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিতীয়বার এমন ধরনের মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। এ নিয়ে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোরের।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাশিয়ার দু'টি টিইউ-৯৫এমএস এবং চীনের চারটি এইচ-৬কে কৌশলগত বোমারু বিমান এই যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়ে ছিল। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার অ্যারোস্পেস ফোর্স এবং চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির বিমান বাহিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দূরপাল্লার বিমান দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই যৌথ মহড়া চালিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, দু'দেশের মধ্যেকার সামরিক সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এমন মহড়া চালানো হয়েছে । এতে তৃতীয় কোনও দেশকে টার্গেট করে অবশ্য এই মহড়া চালানো হয়নি। এছাড়া, এতে আন্তর্জাতিক আইনও কঠোরভাবে মেনে চলা হয়েছে।
রাশিয়া ও চীনের সামরিক বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশ সীমায় ঢুকে পড়েছে বলে সিওল ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিবৃতি দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চীন তাদেরকে বলেছে, একটি চীনা সামরিক বিমান নিয়মিত উড্ডয়নে অংশ নিতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে চীন ও রাশিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে, তবে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ইউনহ্যাপ জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির ব্যাপারে বেইজিং ও মস্কোকে সতর্ক করেছে সিওল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক