কথায় আছে বয়স কখনও কিছুতে বাধা হতে পারে না। আর সেই কথাই আবারও প্রমাণ করলেন ভারতের ওড়িশার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী জয় কিশোর প্রধান। যে বয়সে সবাই অবসর জীবন উপভোগ করতে চান, সেই বয়সে এসে নতুন চ্যালেঞ্জই নিয়ে ফেললেন তিনি। তাও আবার চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করার।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ইতোমধ্যে ভারতের ন্যাশনাল ইলিজিবিলিটি কাম এনস্ট্রাস টেস্ট (নিট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বীর সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি পর্যন্ত হয়েছেন জয় কিশোর, যা জানতে পেরে অবাক অনেকেই। অবশ্য সব মহল থেকেই প্রশংসা ও উৎসাহ পাচ্ছেন তিনি।
জয় কিশোর প্রধান ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পর হঠাৎই তার অসমাপ্ত স্বপ্ন সার্থক করার কথা মাথায় আসে। শুরু করেন পড়াশোনা। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় নিট পরীক্ষার সর্বোচ্চ বয়স কত হতে পারে? সেই সংক্রান্ত একটি মামলা। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তাই এই পরীক্ষায় বসতে কোনও সর্বোচ্চ বয়স ধার্য করা হয়নি। এর ফলে নিজের অনেকদিনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চলতি বছরে নিট পরীক্ষায় বসেন জয় কিশোর। তারপর পাসও করলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ