ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আদেন বিমানবন্দরে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জন হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির নবগঠিত সরকারকে বহনকারী একটি বিমান প্রতিবেশী সৌদি আরব থেকে আসার পরেই একটি বিস্ফোরণ ঘটে।
হতাহতের মধ্যে কর্মকর্তারাও আছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ও তার মন্ত্রিসভার সবাই ‘ভালো আছেন’।
এ হামলাকে হুতি বিদ্রোহীদের একটি 'কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী কাজ' বলে অভিযোগ করেছেন ইয়েমেনের তথ্যমন্ত্রী।
বুধবারের হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে, যাত্রীরা বিমান থেকে নামার পরপরই বিস্ফোরণটি হয়।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের স্বাগত জানাতে বিমানের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে ঘন ধোঁয়া দেখার পর তারা পালিয়ে যান। এরপরেই গুলির শব্দ শোনা যায়।
গত ১৮ ডিসেম্বর দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে ইয়েমেনের নতুন সরকার। সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়ে শপথ নেন এ সরকারের ২৪ মন্ত্রী। সেখানে তাদের শপথ পড়ান ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট আবেদরাব্বো মনসুর হাদি।
ইয়েমেনে ২০১৫ সাল থেকে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি জোটের লড়াই চলছে। প্রেসিডেন্ট হাদির শাসন পুনরুদ্ধার করার জন্য দেশটিতে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি জোট।
২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী হুতি বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে রিয়াদে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাদি। ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নতুন সরকার গড়েছেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ