ভিয়েনায় যে পরমাণু আলোচনা চলছে সেটাকে ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েল নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরমাণু আলোচক দলের প্রধান আলী বাকেরি কানি। তার দাবি, ইসরায়েল পরমাণু সংক্রান্ত আলোচনার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার এবং এটাকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় লিপ্ত।
কিন্তু কেন ইসরায়েল এ চেষ্টা করছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা নিয়ে যাতে ইরানের অনুকূলে কোনো সাফল্য অর্জিত না হয় সে জন্য গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার পেছনেও ইসরায়েলের হাত ছিল।
তাই বর্তমানে পরমাণু সমঝোতাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভিয়েনায় যে চেষ্টা চলছে তাতে ইসরায়েলের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে এবং এটাকে তারা তাদের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে বলেও তিনি দাবি করেন। আরেকটি কারণ হিসেবে আলী বাকেরি বলেন, ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের দীর্ঘ দিনের শত্রুতা। ইরান কখনোই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং ইসরায়েলকে এ অঞ্চলে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকার বলে মনে করে।
ভিয়েনা আলোচনায় ইসরায়েলের হস্তক্ষেপমূলক বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাকেরি কানি বলেছেন, যেখানে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের কোনো বৈধতা নেই সেখানে তারা বাইরে থেকে পরমাণু আলোচনার বিষয়ে নাক গলাচ্ছে এবং আলোচনার পরিবেশকে বিষিয়ে তোলার বা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে ইসরায়েল এবং তারা বুঝতে পেরেছে ইরানের মোকাবেলায় তারা অক্ষম। সে কারণে তারা মনে করে ইরানের ওপর যত বেশি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা যাবে ততবেশি ইসরায়েলের স্বার্থ নিশ্চিত করা যাবে। ইসরায়েলের জন্য আরেকটি বড় উদ্বেগের কারণ হচ্ছে এ অঞ্চলের জাতিগুলোর জন্য ইরান একটি আদর্শে পরিণত হয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক