মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবার ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে রাশিয়াকে কঠিন হুঁশিয়ার দিলো। বুধবার এক টেলিফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এই দুই শীর্ষ কূটনীতিক টেলিফোনালাপে ইউক্রেনসহ অন্যান্য যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরস্পরকে সহযোগিতা করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে তার ‘বড় ধরনের’ জবাব দিতে হবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পার্সটুডে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রাচ্যে নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সব সময় অজুহাত খোঁজে আমেরিকা। বর্তমানে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের ঘটনা ওয়াশিংটনকে সেই সুযোগ এনেছে দিয়েছে।
পূর্ব ইউরোপকে উত্তেজিত করে তোলার জন্য আমেরিকা এখন অভিযোগ করছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে চায়। রাশিয়া এ অভিযোগ বারবার অস্বীকার করলেও আমেরিকা এবং ইউরোপ উত্তেজনা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টায় মোটেই কার্পণ্য করছে না।
একিকে, রাশিয়ার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও থামছে না ইউক্রেন। এবার চলমান উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভেলিন নামের আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সামরিক মহড়া চালিয়েছে দেশটি। ইউক্রেন দাবি করছে, এই মহড়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অবস্থান থাকা পূর্বাঞ্চলে চালানো হয়েছে।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে চায় ইউক্রেন। দেশটি ২০১৮ সাল থেকেই একাধিকবার মার্কিন অস্ত্র ও জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে। এর সমালোচনা করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের অভিযোগ, আক্রমণ করার জন্য সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায় সংঘাত শুরু হলে তা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
তবে ইউক্রেন আক্রমণে পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। বুধবার ইউক্রেনের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেকসি ডানিলভ জানান, ১ লাখ ২২ হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এর আগে, গত সপ্তাহে তিনি ইউক্রেনে হামলা চালানো ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সীমান্তে রাশিয়ার অন্তত ৫ থেকে ৬ লাখ সেনা মোতায়েন করতে হবে বলে জানান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক