করোনার সংক্রমণ রোধে আরোপ করা নতুন বিধিনিষেধ ও টিকা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছেন মানুষ। এ ঘটনায় স্যাক্সনিতে সংঘর্ষে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার কয়েক হাজার মানুষ জার্মানির বিভিন্ন শহরে সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সম্প্রতি জার্মানির সরকার ব্যক্তিগত পরিসরে জমায়েতের সীমা বেধে দেয়া এবং নববর্ষ উদযাপনকে সামনে রেখে জনসমাগমের উপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করে বিধি পাস করেছে পার্লামেন্ট৷
সরকারের নেয়া এমন নানা বিধিনিষেধ ও টিকার বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিক্ষোভ করে আসছেন করোনাবিধি ও টিকাবিরোধী মানুষেরা। এর মধ্যে কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ রূপ নিচ্ছে সহিংসতাতে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন অনেকে। রবিবাররের একটি ঘটনায় আদালত চারজনকে শাস্তি দিয়েছেন।
সোমবারের বিক্ষোভে সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়েছে ম্যাকলেনবুর্গ-ফরপমেন রাজ্যে।সেখানে ১৫ হাজার বিক্ষোভকারী বিভিন্ন সড়কে জড়ো হন। বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, শারীরিক ক্ষতি করা, সম্পত্তি বিনষ্ট করা, অসাংবিধানিক বা সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রতীক ব্যবহারের দায়ে নয়টি মামলা করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর ব্রান্ডেনবুর্গে বিক্ষোভে নয় হাজার মানুষ জড়ো হন। স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের হালে শহরে অংশ নেন দেড় হাজার বিক্ষোভকারী।
স্যাক্সনির বাউৎসেন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিক্ষোভ হয়েছে ড্রেসডেন, লাইপসিশ, থুরিঙ্গিয়া ও আল্টেনবুর্গেও।
বাভারিয়ার শোয়াইনফুর্ট শহরে তিন বিক্ষোভকারীকে সোমবার স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আরো একজনকে জরিমানা করা হয়েছে। সেখানে রবিবার বিক্ষোভ চলাকালে আট পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রতিবাদকারী আহত হয়েছিলেন।
জার্মানি বর্তমানে কোভিডের পঞ্চম ঢেউয়ে আক্রান্ত। এরইমধ্যে ১৬টি রাজ্যের সবকটিতে দ্রুত সংক্রমণ ঘটানো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন