চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে যুদ্ধ করছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া।
এরই মধ্যেই যুদ্ধের ১০ পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে ইউক্রেনের বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিলেও সেগুলোর কোনও কোনও পুনরুদ্ধারও করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। বাকি অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে এখনও জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
এদিকে, ইউক্রেনের এই যুদ্ধে শত শত মার্কিন সেনা মোতায়েন করা রয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
তিনি বলেছেন, “আমেরিকার এসব সেনা, বহু সামরিক উপদেষ্টা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তা বহু আগে থেকেই সরাসরি সংঘাতে জড়িত।”
রাশিয়ার চ্যানেল ওয়ান টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুধবার ল্যাভরভ এই দাবি করেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি ইউক্রেন সংঘাতে গভীরভাবে ওয়াশিংটনের জড়িত থাকার কথাও তুলে ধরেন। ল্যাভরভ বলেন, বারবার মার্কিন সরকার আশ্বাস দেওয়ার পরেও ইউক্রেনে মার্কিন সেনাদের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা বেড়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যখন ইউক্রেনে কু হয়েছে তার আগে থেকেই মার্কিন সেনারা সেখানে তৎপর রয়েছে। ২০১৪ সালে ক্যু’র মধ্য দিয়ে রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র কর্মকর্তারা ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার একটা বিরাট অংশ দখল করে রেখেছে। এছাড়া ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন সামরিক অ্যাটাশেরা ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরামর্শ দিয়ে চলেছেন।
সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, প্রকৃতপক্ষে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পশ্চিমা বাহিনী এরইমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্ত হয়েছে।
এ ধরনের অভিযোগ আরও আগে থেকেই করে আসছে রাশিয়া। তবে এ বিষয়ে মার্কিন সরকার কিংবা ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সুস্পষ্ট কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরং আমেরিকা বারবারই দাবি করেছে, ইউক্রেনে সরাসরি যুদ্ধের জন্য কোনও সৈন্য পাঠানো হবে না। সূত্র: তাস
বিডি প্রতিদিন/কালাম