রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের সুমি শহরে সামরিক কমান্ডারদের একটি বৈঠকের সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। তবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে মস্কো।
তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রবিবার সকালের হামলায় দুই শিশুসহ ৩৪ জন নিহত এবং ১১৭ জন আহত হয়েছেন। শহরের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানা এই হামলা ২০২৩ সালের পর থেকে ইউক্রেনের সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলোর মধ্যে একটি।
এই হামলার ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই হামলাকে ভয়াবহ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ভুল করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কমান্ড স্টাফদের একটি বৈঠকে দুটি ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। রাশিয়ার দাবি, এই হামলায় ৬০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে জনবহুল এলাকায় সামরিক স্থাপনা স্থাপন এবং বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী কেবল সামরিক এবং সামরিক-সম্পর্কিত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে।’ বেসামরিক নাগরিক বা আবাসিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেন ক্রেমলিন মুখপাত্র।
পেসকভ আরও বলেন, রাশিয়ার আইন অনুসারে কেবল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যই সরকারি বলে বিবেচিত হয়। যা বেসরকারি সূত্রের ভিত্তিতে যুদ্ধের প্রতিবেদন করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বেসামরিক হতাহতের কথা স্বীকার করেছে কিন্তু ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছে। বলেছে, কিয়েভের একটি সামরিক সমাবেশের কারণেই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলাটি ঘটেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রবিবার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে সরাসরি ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করার জন্য ইউক্রেন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সূত্র: মস্কো টাইমস
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল