বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিবাহবিচ্ছেদের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এটি যেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কোনো সমস্যা সমাধানের সহজ মাধ্যম হিসেবে দাঁড়িয়েছে। দাম্পত্য জীবন যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় এ নিয়ে লোকজনের ভাবনাও আগে থেকে কমে যাচ্ছে।
তবে দাম্পত্য জীবন স্থায়ী করার গোপন ছয়টি উপায় রয়েছে। এগুলো অনুসরণ করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক অনেক বেশি মজবুত হয় ও দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হয়।
যথাযথ যোগাযোগ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যথাযথ যোগাযোগ না থাকলে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে কর্মস্থলে বা অন্যান্য জায়গায় যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন তার মধ্যেও অন্তত ১৫ মিনিট সময় করে নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন : বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর উভয়েরই উচিত একে অন্যকে যথাযথ সম্মান দেয়া। কেউ যাতে কারো পছন্দ বা অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ না করে। দম্পতিদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন বৈবাহিক সম্পর্ককে গাঢ় করে।
ছাড় দেয়ার মানসিকতা : অনেকে মনে করেন অন্যকে ছাড় দেয়ার অর্থ হচ্ছে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা। এই মনে করে অনেকে নিজের স্ত্রী বা স্বামীকে কোনো বিষয়ে ছাড় দিতে চায় না। প্রত্যেক দম্পতির উচিৎ যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে উভয়েই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া।
আর্থিক স্বচ্ছতা: পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য স্বামী-স্ত্রীর উচিত আলাদা আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা। তবে এসব বিষয়ে একেবারে গোপনীয়তা করা মোটেও উচিত নয়। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একে অপরকে জানাতে হবে।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক : শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে অব্যশ্যই উভয়ের ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে। এজন্য স্বামী তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের মাঝে মধ্যে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে ভালো খাবারের আয়োজন করতে পারে। স্ত্রীরও উচিত সবসময় তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।
বেড়াতে যাওয়া : স্বামীর উচিত স্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুভব করা। যদি সন্তান থাকে তাহলে তাদেরকে দাদা-দাদীর কাছে রেখে মাঝে মাঝে বেড়াতে যাওয়া। তাহলে উভয়েরই মনমানসিকতা ভাল থাকবে।
উপরোক্ত পরামর্শ দাম্পত্য জীবন সুখি হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তাই যথাসম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।