নাগরিক জীবনের ছোয়ায় আমাদের খাদ্যাভ্যাস, ঘুম সবই যেন বদলে যেতে শুরু করেছে। এমনিতে সারাদিন শরীরের ওপর, মনের ওপর নানা চাপ, তার ওপর রাতে বিছানায় গা এলিয়ে গিয়ে ঘণ্টা পার করে দিলেও আসে না ঘুম। ইদানিং যেন এই সমস্যাটা ঘরে ঘরে। ঘুম না আসা কিংবা ভালো ঘুম না হওয়া অধিকাংশ মানুষের সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ঘুমের সমস্যা হলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি যেমন বাড়ে তেমনি স্থুল হতে থাকে শরীর। অবশ্য কারও কারও ক্ষেত্রে শরীর কৃশকায় হতেও দেখা যায়। তবে সেটা ব্যতিক্রম। একইসঙ্গে অপর্যাপ্ত ঘুমে কর্মদক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা ও কাজে মনোযোগও কমে যায়। তাহলে উপায়?
ঘুমের সমস্যা হয় সাধারণত মানসিক চাপ, দুঃশ্চিন্তা, দীর্ঘদিন বিষণ্নতা অথবা শোবার ঘরে অতিরিক্ত শব্দ কিংবা আলো জ্বালানো থাকলে। কিন্তু কিছু বিষয় মেনে চললে অনিদ্রা দূর হবেই।
ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খেয়ে নিন। গরম দুধ ঘুমাতে সহায়তা করবে।
ঘুমানোর আগে নিয়মিত কলা খেতে পারেন। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম, যা পেশী সচল করে দ্রুত ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে। আর মৌসুম যদি থাকে আম-কাঠালের তাহলে তো কথাই নেই। পেট ভরে খান আর মন ভরে ঘুমান।
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং সকাল বেলা একই সময়ে বিছানা ত্যাগ করুন। এজন্য প্রয়োজনে নিজের মোবাইল বা ঘড়ির অ্যালার্মটাকে এবার কাজে লাগান।
ঘুমাতে যাওয়ার পর ঘুম না এলে বিছানা ছেড়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, তবে ঘুমানোর আগে ভারী ব্যায়াম করবেন না। প্রয়োজনে যোগ ব্যায়াম করুন। যোগ ব্যায়াম আপনার ইন্দ্রিয়কে সহজেই শীথিল করে।
ঘুমানোর ৪ ঘণ্টা আগে থেকে চা, কফি, সিগারেট ও অন্যান্য অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করবেন না।
ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাবেন। আর জানেনই তো 'আফটার ডিনার রেস্ট এ হোয়াইল, আফটার সাপার ওয়াক এ মাইল'। মানে, রাতে খাবার পর মাইলখানেক হাটার পরামর্শ তো প্রবাদবাক্যেই দেওয়া আছে।