আজকাল টেলিভিশনের পর্দায়, খবরের কাগজে বা বিলবোর্ডে হামেশাই স্লিম হওয়া বা উচ্চতা বাড়ানোর ওষুধের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে আবার 'ব্যবহারের আগে ও ব্যবহারের পরে' লিখে দুটি তুলনামূলক ছবিও দেওয়া থাকে। বর্তমান বাজার ছেয়ে গেছে এই ধরনের ওষুধের ব্যবসায়। টিনএজাররা ক্রমশ নিজেকে সুন্দর করে তোলার প্রতিযোগিতায় কাড়িকাড়ি অর্থ ব্যয় করে চলেছে এই সমস্ত ওষুধের পেছনে। অধিকাংশ বিজ্ঞাপনে আবার লেখা থাকে সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত। আসলে কি তাই?
অধিকাংশই জানেন না এইসমস্থ অষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। যারা খান বা খেয়েছেন তারাই জানবেন এই ধরনের ওষুধগুলির সাইড এফেক্ট কতটা মারাত্বক! ঠিক সেরকমই, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়াতে ৩০ বছরের এক নারী অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন কমানোর ওষুধ খেয়ে মারা যান। জানা গেছে, মোটা হওয়ার কারণে তিনি অবসাদে ভুগতেন। আর এজন্যই বিজ্ঞাপন দেখে ওজন কমানোর অপরিচিত ওষুধ খেতে শুরু করেন। আর এতেই বন্ধ হয়ে গেল হৃদস্পন্দন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন চিকিৎসক জানান, রাজ্যে ওজন কমানোর ওষুধের নামে প্লেসবোস এবং স্টেরয়েড বিক্রি হচ্ছে যা খুবই ক্ষতিকারক।
স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ একমাত্র ডাক্তাররাই দিয়ে থাকেন বিশেষ কিছু রোগের জন্য। ডাক্তাররা এনাবলিক স্টেরোয়েড দিয়ে থাকেন সাধারনত আনেমিয়ার ক্ষেত্রে। পুরুষদের ক্ষেত্রে, যাদের যথেষ্ট পরিমাণে টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন হয় না, তাঁদের জন্য।
তাহলেই বুঝতে পারছেন স্টেরয়েড কতটা মারাত্বক ড্রাগ। যদিও, এই ড্রাগ বাজারে মুড়ি মুড়কির মতো বিক্রি হয় না তবুও, বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে স্টেরয়েডের অপব্যবহার করে চলেছেন। গরুকে দ্রুত মোটা করার জন্য হোক বা অতিরিক্ত ভুঁড়ি বা মেদ কমানো- সবক্ষেত্রেই ব্যবহার হচ্ছে প্লেসবোস ও স্টেরয়েড।
সাবধান হন এখন থেকেই। আপনার শরীর আপনার মন্দির। তাকে সুন্দর করে গড়ে তুলুন। নিজেকে সুন্দর করার আরও অনেক ভাল উপায় আছে। সঠিক খাওয়া-দাওয়া, ব্যয়াম, সাঁতার এসব করলে এমনিতেই আপনার শরীর সুস্থ ও আকর্ষণীয় থাকবে।