খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মৌলিক প্রয়োজন মেটানো হয়তো কারো কারো জন্য কষ্টকর হয়ে উঠে। তার ওপর সংসারে নতুন অতিথি আসা মানেই খরচ প্রত্যাশিতভাবেই আরো বেড়ে যাওয়া। ফলে সংসার চালাতে বাবা-মাকে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। তাই শিশুদের পেছনে টাকা খরচের ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্ক থাকা ভালো। যারা সদ্য বাবা-মা হয়েছেন বা হতে যাচ্ছেন এ বিষয়ে তাদের করণীয় কি তা নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো : বাচানোর ৭টি উপায় দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টুডে। অর্থসূচকের নিয়মিত পাঠকদের জন্য তা এখন তুলে ধরা হলো।
১. অপ্রয়োজনে ফার্নিচার কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে : সংসারে নতুন অতিথি আসবে বা এসেছে- এমন ধারণা থেকে আগেভাগেই নতুন খাট বা পালঙ্ক কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারে নতুন শিশু আসছে- এ উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে পালঙ্ক বা খাট কেনা হলে তা পরে কোনো কাজেই আসে না।
২. কাপড়চোপড় কেনার ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হোন : অনেক অভিভাবকদেই দেখা যায়, সদ্যজাত শিশুদের জন্য অতিরিক্ত পোশাক কিনতে। এমনকি করা যাবে না কারণ ওই পোশাক দুইদিন পরেই অনেকসময় ছোট হয়ে যায় বা ফেলে দিতে হয়। তাই বাচ্চাদের পোশাক কেনার ব্যাপারে মিতব্যয়ী হতে হবে। অপ্রয়োজনে গাদা গাদা পোশাক কেনার দরকার নেই।
৩. নতুন কিছু কেনার আগে ভাবুন : বাচ্চার জন্য কোনো কিছু কেনার আগে ভাবতে হবে যে ওই জিনিস তার কতটুকু কাজে আসবে বা বাসায় স্মৃতি হিসেবে পড়ে থাকবে কিনা? যদি মনে করেন বেশিদিন কাজে লাগবে না তাহলে কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৪. খেলনা কেনার ক্ষেত্রে সৌন্দর্য্যকে গুরুত্ব দিন : দামে নয়, বাচ্চার খেলনা কেনার ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অযথা কিছু কিনবেন না। কারণ বাচ্চারা দাম নয়, সৌন্দর্যই বেশি পছন্দ করে।
৫. খাবারের পরিকল্পনা সেরে নিন : শিশুরা সাধারণত কম খায়- এটা সবাই জানে। কিন্তু দেখা যায়, তাদের জন্য অনেক বাবা-মা বাজার থেকে গাদা গাদা খাবার কিনে নিয়ে আসছেন; যা অন্যরা খায় বা অনেকটা নষ্ট হয়। তাই আগে থেকেই বাচ্চার জন্য খাবারের পরিকল্পনা রাখতে হবে। বেশি খাবার নয়, পুষ্টিযুক্ত খাবারে গুরুত্ব দিতে হবে। ফলে খাবারে অতিরিক্ত খরচ কমে যাবে।
৬. শিশুর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিতব্যয়ী হতে হবে : শিশুর জন্মদিন বা শিশুর বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান করার আগে ভাবতে হবে। বড় কেক না কিনে ছোঠো কেক কিনুন। অধিকতর পেশাদারী ও আনুষ্ঠানিকতার ভারে নিজেকে গুলিয়ে দিলে খরচ স্বভাবতই বেশি হবে।
৭. শিশুর আগমণকে স্বাভাবিক মেনে নিন : অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ না হয়ে শিশুর আগমণকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। এতে দেখবেন বর্তমানে যা আছে তা দিয়েই আপনার শিশুর প্রয়োজন হয়তো মিটে যেতে পারে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে'র
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ ২০১৫/শরীফ