দারুচিনি অতি পরিচিত একটা মশলা। যেকোন মিষ্টি জাতীয় খাবার কিংবা মাংস রান্নায় দারুচিনি ছাড়া কল্পনায় করা যায় না। কিন্তু মশলার বাইরেও দারুচিনির রয়েছে নানা উপকারিতা। আমাদের শরীরে নানা রোগ-ব্যাধি দূর করতে কিংবা সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে এই মশলার জুড়ি মেলা ভার। নিচে দারুচিনির নানারকম উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী।
পেটের সমস্যা দূরীকরণে : পেটে কোনো সমস্যা হলে দারুচিনি খেতে পারেন। কারণ এই মশলা আমাদের দেহে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। দারুচিনি চা, দারুচিনি গুঁড়ো, দারুচিনি তেল আমাদের পেটের সমস্যা দূরীকরণে খুবই ভালো।
ক্যান্সার প্রতিরোধ : দারুচিনির নানাবিধ উপাদান আমাদের দেহের গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, টিউমার এবং মেলানমাস রোগ প্রতিরোধ করে।
বাতের ব্যথা দূর : দারুচিনিতে আছে ম্যাঙ্গানীজ যা আমাদের দেহের মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে থাকে। বাতে ব্যথার সমস্যায় দারুচিনির তেল বা চা পানে তা দূর হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : দারুচিনির প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ আমাদের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী এবং পৃথিবীর শীর্ষ ৭টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানই আছে দারুচিনির মধ্যে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলো আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ : যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভাবছেন, তারা খেতে পারেন দারুচিনি। দারুচিনি আমাদের দেহের রক্ত তরল করে এবং দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পেশী ও মাথা ব্যথায় : দারুচিনি তেল দিয়ে দেহের ব্যথাযুক্ত জায়গায় মালিশ করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায় এবং ব্যথাও কমে যায়। দারুচিনির চা মাথা ব্যথা নিমিষেই দূর করে দেয়।
মৃতিশক্তি বৃদ্ধি : নিয়মিত দারুচিনি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
কাশি দূরীকরণে : ঠাণ্ডায় গলাব্যথা বা খুশখুশে কাশিতে মধু চায়ের সঙ্গে দারুচিনি মেশালে আরাম পাওয়া যায়।
রূপচর্চায় : ত্বকের উজ্জ্বল্যতা বৃদ্ধিতে দারুচিনি, দূর্বাঘাস ও হলুদ সমপরিমানে বেটে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রন রোধ করতে দারুচিনি বেশ উপকারী।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ এপ্রিল ২০১৫/শরীফ