সম্প্রতি আমেরিকার বিখ্যাত মাইয়ো ক্লিনিকের ব্যাখ্যায় জানানো হয়, 'ভালভোডাইনিয়া' সংক্রান্ত যন্ত্রণা নারীদের জীবনটাকে নরক বানিয়ে দেয়। একটানা কিছু সময় বসে থাকা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে এই নারীদের যৌন জীবন হয়ে উঠে দারুণ যন্ত্রণাপূর্ণ। ভালভার ভেস্টিবুলিটিস সিনড্রোমের (ভিভিএস) কারণে যৌনতা কতটা যন্ত্রণাময় হয়ে উঠতে পার তা ব্যাখ্যা করেছেন ভুক্তভোগীরা। যৌনাঙ্গের মুখে তীব্র ব্যথায় সেক্স হয়ে উঠে দুঃস্বপ্নের মতো। এখানে চাপ তো দূরের কথা, স্পর্শেই নিদারুণ কষ্ট অনভূত হয়।
যদিও ভালভোডাইনিয়া নারীদের মাঝে পরিচিতি কোনো সমস্যা নয়। বেশিরভাগ নারী এর সম্পর্কে অবগত নন। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়, ছত্রাক সংক্রমণের কারণে এই ক্রনিক যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার বিশেষ কোনো চিকিৎসাব্যবস্থাও নেই। মাইয়ো ক্লিনিক জানায়, টপিক্যাল অ্যানেস্থিটিক্স, বায়োফিডব্যাক থেরাপি, পেলভিক ফ্লোর থেরাপি আর ওষুধপত্রের প্রয়োগে এর চিকিৎসা চলে। আবার সার্জারিও করা হয়। ত্বক ও টিস্যুর যে অংশ সংক্রমিত হয়েছে বলে মনে হয়, তা সরিয়ে ফেলাই একমাত্র উপায়।
বেকি নামের এক নারী নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এক রাতে সেক্স করার সময় নরক নেমে এলো। মনে হলো, কেউ যোনিপথে এক টুকরা কাচ গেঁথে দিয়েছে। এই ব্যথার বর্ণনা মুখে বলা সম্ভব নয়। তাই এই সমস্যায় বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। নয়তো এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি নেই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার