ঈদের ছুটি শেষে রবিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নামে মাদারীপুর শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। নাব্যতা সংকটের কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সকাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের লঞ্চে প্রচন্ড ভীড় করতে দেখা গেছে।
যাত্রী চাপ বেশি থাকায় ঘাটের লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় পদ্মা পার হতে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি ঢাকাগামী মানুষদের। লঞ্চের পাশাপাশি স্পীডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে নব্যতার কারণে বন্ধ রয়েছে রো-রো ও ডাম্প ফেরি চলাচল। শুধুমাত্র কে-টাইপ ও মিডিয়াম ৭টি ফেরি চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও চালকরা। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, নদীতে ড্রেজিং কাজ চলমান থাকায় এই নৌরুটে শনিবার রাত ১১টা থেকে রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সব ধরণের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি বিকল্প নৌরুট পাটুরিয়া-দৌলদিয়া ঘাট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক যানবাহন।
এদিকে রবিবার সকালে পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া কিশোরী নামের একটি ফেরি লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ডুবোচরে আটকা পড়ে। এক ঘন্টারও বেশি সময় চেষ্টা করে ডুবোচরের হাত থেকে রক্ষা পেলেও ফেরিটির ইঞ্চিন বিকল হয়ে যায়। পরবর্তীতে লঞ্চ ও স্পীডবোটের মাধ্যমে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। এরপর মাঝ পদ্মায় ফেরিটিকে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। পরে দুপুরের দিকে ফেরিটিকে উদ্ধার করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া জানান, ঈদের ছুটি শেষে রবিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। কিন্তু নাব্যতা সংকটে শুক্রবার থেকে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করতে পারছেনা। দিনে ছোট ফেরিগুলো চললেও দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার রাত ১১টা থেকে রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সকল ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে এ সংকট দূর করতে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দ্রুত খননকাজ চলছে। নাব্যতার কারণে শুধুমাত্র কে-টাইপ ও মিডিয়াম ফেরি অল্প যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। এতে ঘাট এলাকায় কয়েক শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর