প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কের বৈরীতা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে কোনো বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার বিকেলে পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য যা করণীয় সরকার তার সবকিছুই করবে। আমরা সবার সাথেই বন্ধুত্ব রাখবো। ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এখন সোনালী অধ্যায়ে রয়েছে। আবার চীনের সাথেও আমাদের গভীর বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের বরফ গলাতে বাংলাদেশ মধ্যস্থতা করবে বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে মোমেন আরো বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আমাদের জন্য বিশাল একটি অর্জন। আমাদের মত দেশের জন্য এই অকল্পনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কেবল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহসিক সিদ্ধান্তের কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমরা নিউক্লিয়ার মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে সোচ্চার, কিন্তু মানুষের উপকারে ইতিবাচক কাজে নিউক্লিয়ার টেকনোলজি ব্যবহারের পক্ষে। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক বৃদ্ধি করবে। আমরা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সারা পৃথিবীর স্বীকৃতিও পেয়েছি।
পরিদর্শনকালে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সারা পৃথিবী স্থবির হয়ে গেলেও রূপপুরে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করেছেন রাশিয়ান ও দেশীয় কর্মীরা। তাদের কারণেই শিডিউল অনযায়ী কাজ এগিয়ে চলেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে বলেও জানান তিনি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ইতোমধ্যেই রাশিয়া থেকে রিএকট্যার প্রেসার ভেসেলের ভারী যন্ত্রাংশ নদী পথে প্রকল্পের নবনির্মিত জেটিতে পৌঁছতে শুরু করেছে। যন্ত্রাংশগুলি নামাতে প্রয়োজনীয় কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় কারিগরি কার্যক্রম শেষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে তা মূল নিউক্লিয়ার বিল্ডিংয়ে সংযোজন শুরু হবে।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫২ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন