আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। আইন পরিপন্থী ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোনো বক্তব্য বা আচরণ এই দেশে সহ্য করা হবে না। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, তাদের সতর্ক করছি।’
আজ রবিবার দুপুরে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এই সতর্ক বার্তা দেন।
কোনো প্রকার উসকানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সকলেই ধর্মবিশ্বাসী মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিন শুরু হয় ফজরের নামাজ আর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। এই দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের পাশাপাশি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ও কওমি মাদ্রাসারও স্বীকৃতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা।’
তাদের দল থেকে বের করে দিতে হবে
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটি গঠন প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নিজের লোক দিয়ে, পকেট কমিটি গঠন করা যাবে না। দলকে শক্তিশালী করতে হলে নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। চিহ্নিত অপরাধী, দখলদার, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, নারী অবমাননাকারী বিতর্কিত লোকদের দলে আনা যাবে না। একটি খারাপ কাজ ১০টা ভালো কাজকে ঢেকে দিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এসব কথা শুনেন, পত্রপত্রিকায় খবর দেখেন, তখন তিনি খুব কষ্ট পান। প্রধানমন্ত্রী অনেক কষ্ট করে বঙ্গবন্ধুর এই দলকে সারাদেশে ঘুরে ঘুরে সু-সংগঠিত করেছেন। যে দুই-একজনের জন্য সংগঠন বদনাম হচ্ছে, তাদের দল থেকে বের করে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কার মদদে যুব মহিলা লীগের মতো বড় একটি পদে পাপিয়ার মতো মেয়েরা ঢুকে। তাদের সাপোর্ট না থাকলে কীভাবে ঢুকে? এসব ব্যাপার সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। অতীতে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, এবার থেকে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের পেছনে যেসব নেতাদের মদদ রয়েছে, তাদের ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে। দলের সভাপতি যেখানে নৌকা প্রতীক তুলে দেন, সেই জায়গায় তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অর্থ কী? ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের কর্মকাণ্ড আর না হয়। একই সাথে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ যেন কোনো অপকর্ম করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।’
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউছার।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সদর আসনের এম পি মো. নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতিক), পলাশ আসনের এম পি আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, শিবপুর আসনের এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব, সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী, নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক প্রধানসহ জেলার দলীয় নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ