তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, বাংলার মাটি থেকে চিরতরে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিতাড়িত করা হবে। বাংলার মাটিতে কোন সাম্প্রদায়িক শক্তির কোন স্থান নেই। তারা কখনো আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না তাদের প্রতিহত করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বাঙালিদের উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পিছনে কাদের ইন্ধন আছে তা খুঁজে বের করতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, চিত্রনায়িকা শাহনুর, কন্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, নাট্য অভিনেত্রী সোনিয়া পারভীন শাপলা, দীপাবলী দীপা, মোত্তাছিম বিল্লাহ, নুর মোহাম্মদ, কন্ঠশিল্পী করিম খানসহ নাট্য ও চলচিত্র অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
সমাবেশে ডা. মুরাদ হাসান বলেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির রাজনীতির উত্থান ঘটিয়েছিলেন অবৈধ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি বাংলাদেশকে একটি তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধী মৌলবাদী শক্তিকে বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন এবং তার পথ অনুসরণ করেছিলেন তার সুযোগ্য স্ত্রী ও পুত্র। বিদেশের মাটিতে বসে তারেক জিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতদিন বিএনপি নামক এই রাজনৈতিক দলটি থাকবে ততদিন এই সাম্প্রদায়িক শক্তি মৌলবাদী শক্তি একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল শক্তিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, যারা বিজয় দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানায় না তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি নয়। তারা ৭১ এর সহযোগী এবং মনেপ্রাণে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নাই। তারা এখনও স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশকে তালেবানী রাষ্ট্র ও পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানানো। কোন মেজরের ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েনি। দপ্তরী কখনো স্কুলের প্রধান শিক্ষক নয়। ঘোষক কখনো অনুষ্ঠানের প্রধান নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় চার নেতা। যারা শেখ হাসিনার বিরোধীতা করছে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তাই করেন। তিনি পদ্মাসেতু দেশের অর্থায়নে করেছেন। তিনি আজ বিশে^র রোল মডেল।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন