আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আধুনিক বিশ্বে প্রায় ৯০ শতাংশ মামলা স্বাভাবিক আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়। মামলাজট কমাতে বাংলাদেশকে সেদিকেই যেতে হবে। এজন্যই সরকার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতি চালু করেছে। বিচারপ্রার্থী জনগণসহ আইনজীবীদের এ পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে হবে।
মীমাংসাযোগ্য মামলাগুলো আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলে গেছেন যদি কোনো দেওয়ানি মামলা দাদা শুরু করেন তাহলে তা বাবা চালায়, ছেলে চালায়, নাতি চালায় তাও শেষ হয় না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আমরা আর এর মধ্যে থাকতে চাই না। এ বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
আজ রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জিপি (সরকারি কৌঁসুলি) এবং পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) জন্য অনলাইনে আয়োজিত ২২তম বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আইন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘সব ধরনের দুর্নীতি থেকে দূরে থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার প্রতিটি পর্যায়ে সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে আইনানুগভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলেই জনগণের প্রত্যাশিত স্বল্পসময়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে এবং বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা বহুলাংশে বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজ নিজ জেলার সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই উপলব্ধি করেছি যে, আপনাদের বেতন বা ফি বাড়ানো দরকার। আপনাদের একটি সম্মানজনক ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মতো ফি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।’ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক